ভারত এবং রাশিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম একটি বৃহত্তম চুক্তির সিধান্ত নেওয়া হল। এই বৃহত্তম চুক্তিতে একমত হল রিলায়েন্স এবং রোজনেফট। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রিলায়েন্সকে প্রতিদিন ৫,০০,০০০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পাঠাবে রাশিয়ার সরকারি তেল সংস্থা রোজনেফট। পিটিআই সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৃহত্তম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে ১০ বছরের যে চুক্তি হয়েছে তাতে প্রতিবছর ২৫ মিলিয়ন টন তেল আসবে রিলায়েন্সের কাছে।
নতুন বছরের আগেই জিও আনল গ্রাহকদের জন্য ধামাকা প্ল্যান
উলেখ্য, রাইটার্স সূত্রের খবর রিলায়েন্স এবং রোজনেফটের মধ্যে ১০ বছরের জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ০.৫ শতাংশ। আর এখনকার দামে সেটার মূল্য হবে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১,১০,৩০২ কোটি টাকার বেশি)। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার উপরে কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমী দুনিয়া। আর সেই পরিস্থিতিতে রিলায়েন্স এবং রোজনেফটের মধ্যে যে চুক্তি হল, তা ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
প্রসঙ্গত,রিলায়েন্স বলেছে যে এটি রাশিয়া সহ আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের সাথে কাজ করে এবং বাজারের অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই চুক্তি করা হয়। ভারতের জ্বালানি আমদানির এক তৃতীয়াংশেরও বেশি রাশিয়ান তেল। ২০২২ সালে ইউক্রেনের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা হয়ে উঠেছে ভারত। ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর আগে ভারতের এক শতাংশেরও কম অপরিশোধিত তেল আসত রাশিয়া থেকে। এখন সেটা ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে । চলতি বছরে রাশিয়া যে পরিমাণ তেল রফতানি করেছে তার ৪৭ শতাংশ চিন কিনেছিল এবং ৩৭ শতাংশ ভারত কিনেছিল। যদিও এই চুক্তি বিষয়ক বিশেষ কিছু বলতে চাইনি আমদানি। পিটিআই সূত্রের খবর, এই চুক্তি বিষয় আমদানি জানিয়েছে যে এরকম চুক্তি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রদান করা হয় না। যে সংস্থার দুটি তৈল শোধনাগার আছে গুজরাটের জামনগরে। সেখানে তেল শোধন করে পেট্রোল, ডিজেলের মতো জ্বালানি তৈরি করা হয়। সেই পরিশোধিত তেল ইউরোপ এবং অন্যান্য জায়গায় বিক্রি করে থাকে। জামনগরের একটি শোধনাগার তো শুধুমাত্র রফতানির জন্যই ব্যবহার করা হয়।