“এক দেশে এক নির্বাচন” কার্যকরের দিকে আরও একধাপ এগোল দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। পিটিআই সূত্রের খবর অনুযায়ী, সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকারের অন্যতম অ্যাজেন্ডাই হল এই বিল (One Nation One Election Bill ) পেশ। চলতি শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল সংসদে পেশ করা হতে পারে।
এবার ATM থেকেই PF-এর টাকা তোলা যাবে! কবে থেকে চালু হবে এই পরিষেবা
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছেন, ঘন ঘন নির্বাচন দেশের আর্থিক এবং প্রশাসনিক কাঠামোয় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং রাজ্য ও কেন্দ্রের সংস্থানগুলি উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এই প্রসঙ্গে বলেন, “একযোগে নির্বাচন হলে উন্নয়নের গতি দ্রুত হবে এবং খরচও কমবে। এছাড়াও মোদী আরও জানান, বিল পেশের আগে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠন করা হবে। এই কমিটি সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং তাদের মতামত সংগ্রহ করবে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি আগে থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিলটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিরোধী দল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের অভিযোগ, এই প্রস্তাব কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান করবে। অন্যদিকে, এনডিএ-র মিত্র দলগুলো, যেমন নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) এবং চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি, এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি প্রাথমিক পর্যায়ে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন একযোগে করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি, স্থানীয় নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণের জন্য ১০০ দিনের মধ্যে সমন্বয় করার কথা উল্লেখ করেছে।