আমেরিকা আবারও বেছে নিয়েছে ট্রাম্পকে। আমেরিকা সাথে বহুদেশের সুসম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কের উপর নির্ভর করে আছে বহুদেশের বৈশ্বিক নীতি, রণনীতি। মূলত, বাংলাদেশ সাথে ভালো সম্পর্ক মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের। সাম্প্রতিক শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তাল।বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নোবেল জয়ী মহাম্মুদ ইউনুস।
প্রসঙ্গত, মহাম্মুদ ইউনুস ছিলেন ট্রাম্পের বিরোধী। ২০১৬ সালে ট্রাম্প হিলারি যখন হারিয়ে দিয়েছিলেন তখন মহাম্মুদ ইউনুস নির্বাচনের ফল দেখে নিন্দা করেছিলেন। হিলারির অন্যতম প্রিয় বন্ধু ইউনুস। সেই সময় দাড়িয়ে ইউনুস বলেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় এক সূর্য গ্রহনের কালো দিন। সেই বছরই ট্রাম্প বাংলাদেশকে নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন বাংলাদেশের জনতা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করছেন এবং সেই পোষ্টাকে ইউনুসের সমর্থকেরা মিথ্যে বলে গ্রাহ্য করে না।
ভারত বিদ্বেষের জেরে মুখ থুবড়ে পরল বাংলাদেশের অর্থনীতি
উলেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ। এরপর বাইডেন বিবৃতি জারি করে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। ট্রাম্প এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসনে। হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের জন্য ট্রাম্প ঢাকাকে চাপে রাখতেই পারেন ।
ট্রাম্প বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন, এমনকী এই দেশটিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারেন বলেও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে কারণ নিজের প্রথম মেয়াদে বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে এই কাজটিই করেছিলেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের কাছে ট্রাম্পের জয় এক বড় চ্যালেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসন আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণই নিষিদ্ধ করতে পারে। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপিকেও ক্ষমতায় আনতে পারে।