বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। আদালতে তাঁর হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। হিন্দু সন্ন্যাসীর জামিন মামলার শুনানিতেও সওয়াল করার জন্য এগিয়ে আসেননি কেউ। এই পরিস্থিতিতে অন্তত ৭০ জন হিন্দু আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে!
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিন শুনানির জন্য ২শে জানুয়ারী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কারণ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত দীর্ঘ স্থগিতের জন্য প্রসিকিউশনের আবেদন গ্রহণ করেননি যে তিনি বলেননি। গত মঙ্গলবার ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪ সালে চিন্ময়কৃষ্ণর জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু, এই মামলার শুনানির জন্য কোনও আইনজীবী আদালতে হাজির হননি। কিন্তু, চিন্ময়কৃষ্ণর জামিন আবেদনের শুনানির একদিন আগেই তাঁর উপর হামলা হয় ৷ সেই হামলায় আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আইনজীবী রমেন রায় ৷ এক্স হ্যান্ডেলে একথা জানিয়ে একটি পোস্ট করেন কলকাতা ইসকনের মুখপাত্র রাধারমন দাস ৷
বাংলাদেশে নয়, বরং ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত!' বললেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
এই হামলার পর গত মঙ্গলবার জামিনের শুনানি চলাকালীন সেখানে উপস্থিত আইনজীবীরা চিন্ময়কৃষ্ণর পক্ষে সওয়াল করতে অস্বীকার করলে চট্টগ্রাম আদালত এই শুনানি মুলতবি করেন। চট্টগ্রাম দায়রা আদালতের বিচারপতি সাইফুল ইসলাম আগামী ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
বাংলাদেশের একটি খবরের পোর্টাল, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের একটি প্রতিবেদনে অনুযায়ী, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট অভিযোগ করেছে যে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানিতে উপস্থিত হতে বাধা দেওয়ার জন্য প্রায় ৭০ জন হিন্দু আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংগঠনের দাবি, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা একটি মামলায় আইনজীবীদের বিচার চলছে, যাতে তাঁরা চিন্ময় দাসের পক্ষে সওয়াল করতে না পারেন। এর আগে এই শুনানির জন্য আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে সে দেশের পুলিশ। আদালত চত্বরের বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায় ।