পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরের সামনে আক্রান্ত শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল। বুধবার অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের বাইরে সুখবীর যখন অকাল তখতের দেওয়া শাস্তি অনুযায়ী দ্বাররক্ষীর কাজ করছিলেন, তখন নারাইন চৌরা নামে এক বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের প্রাক্তন জঙ্গি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সূত্রে জানা গিয়েছে, শিরোমণি অকালি দল নেতা সুখবীর নিরাপদেই আছেন। তবে ইতিমধ্যে আততায়ীকে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ। সাতসকালে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্ত হয়ে ওঠে পবিত্র তীর্থস্থান চত্বর।
চিন্ময় প্রভুর জামিন কিভাবে আটকালো বাংলাদেশ
প্রসঙ্গত, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন সতর্ক থাকার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। উপস্থিত লোকজন হামলাকারীকে ধরে ফেলে। পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে। গুলি চালানো ব্যক্তির কাছ থেকে একটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম নারায়ণ সিং চৌরা বলে জানা গিয়েছে। দলটি খালসার সঙ্গে যুক্ত। সূত্রের খবর, হামলাকারীকে বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের (BKI) প্রাক্তন সদস্য বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি, পাকিস্তান থেকে পঞ্জাবে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার করতেন ওই ব্যক্তি।
উলেখ্য, ২০১৫ সালে সুখবীর সিম বাদল উপ-মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রামরহিমকে নিয়মের বাইরে গিয়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সুখবীরকে দোষী সাব্যস্ত করে ‘সাজা’ শুনিয়েছিল অকাল তখ্ত। শিখ ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানের আদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবারের পর বুধবার সকালেও ‘সাজা’ খাটতে হুইলচেয়ারে অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরে পৌঁছে যান সুখবীর। অকাল তখ্ত-এর নির্দেশ অনুযায়ী, ‘সেবাদার’ হয়ে গুরুদ্বারের রান্নাঘর এবং শৌচালয় পরিষ্কার করার কথা ছিল তাঁর। সাজার প্রথম দিনে তিনি স্বর্ণ মন্দিরের কমিউনিটি কিচেনের বাসন-কোসনও পরিষ্কার করেন। পাহারার জন্য হাতে বর্শা নিয়েও দেখা যায় তাঁকে। সুখবীর সিং বাদলের পায়ে একটি ফ্র্যাকচার রয়েছে, তাই প্লাস্টার লাগানো হয়েছে এবং তিনি হুইলচেয়ারে নজর রাখছেন।