Flash News
    No Flash News Today..!!
Thursday, November 13, 2025

শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য দলিল/পত্র নেই–শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য দলিল/পত্র নেই– বাংলাদেশে আবার শুরু হয়েছে ছাত্র আন্দোলন

banner

journalist Name : Priyashree Khangar

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য প্রদেশ থেকে শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায়। সেখানে তারা ভিতরে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই–রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে।

এরপর নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা।

সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি এই মন্তব্য করেন।

১৯ অক্টোবর এই পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’- এ সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হয়েছে।

‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, ‌‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি করেন নি এই নিয়ে বিতর্ক এখনো জারি রয়েছে। হয়তো অনেক দিন থাকবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় একাধিকবার দাবি করেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মিডিয়ার সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের খবর জানিয়েছিলেন।’


প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করে থাকেন তাহলে সেটা গেল কোথায়? কারও কাছে এই প্রশ্নের জবাব নেই।

তিন সপ্তাহ ধরে এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মতিউর রহমান চৌধুরী। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সেখানেও তিনি খোঁজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হন মতিউর রহমান চৌধুরী।

আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? মতিউর রহমানের এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‌‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি’।

৫ আগস্ট ছাত্র-আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র তার কাছে নাই।


কথোপকথনের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন বঙ্গভবনে এলেন তখন জানার চেষ্টা করেছি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না? একই জবাব। শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন।... সব কিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি’।

মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ বিষয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এবং এটাই সত্য। তবুও এই প্রশ্নটি যাতে আর কখনও না ওঠে তা নিশ্চিত করতে আমি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছি।’

রাষ্ট্রপতির পাঠানো রেফারেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ সম্পর্কে তাদের মতামত দেন। এতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীকে রাষ্ট্রপতি শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন বলে আপিল বিভাগ মতামত দেন।

গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভারত সরকার তাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে; যা দিয়ে তিনি অন্য দেশে যেতে পারবেন।


এদিকে বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখক এবং মানবাধিকার কর্মী তসলিমা নাসরিন ভারতে তাঁর বসবাসের সরকারি অনুমতি পুনর্নবীকরণের ইতিবাচক অগ্রগতির খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে ভারতে থাকার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন, যাকে তিনি তার "দ্বিতীয় বাড়ি" বলে উল্লেখ করেছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে, তিনি শাহকে সম্বোধন করে বলেছিলেন, "প্রিয় অমিতশাহজি নমস্কার। আমি ভারতে থাকি কারণ আমি এই মহান দেশটিকে ভালোবাসি। গত 20 বছর ধরে এটি আমার দ্বিতীয় বাড়ি। যাইহোক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জুলাই 2022 থেকে আমার বসবাসের অনুমতির মেয়াদ বাড়ায়নি। আমি খুব চিন্তিত এবং আপনি যদি আমাকে থাকার অনুমতি দিতে পারেন তবে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হব। উষ্ণ শুভেচ্ছা।”

সাম্প্রদায়িকতার একজন সোচ্চার সমালোচক, নাসরিন 1994 সাল থেকে নির্বাসনে রয়েছেন, সাম্প্রদায়িক বিষয় এবং নারী অধিকার নিয়ে তার লেখালেখির বিষয়ে ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের প্রতিক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন। তার কিছু কাজ, যেমন তার যুগান্তকারী উপন্যাস "লজ্জা" (1993) এবং তার আত্মজীবনী "আমার মায়েবেলা" (1998), তাদের বিতর্কিত বিষয়ের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

সম্প্রতি নাসরিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার অপসারণের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে ইসলামিক র‌্যাডিকেলরা তরুণদের ভারত-বিরোধী, হিন্দু-বিরোধী এবং পাকিস্তান-পন্থী মনোভাব গ্রহণ করতে প্ররোচিত করছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সাম্প্রতিক ঘটনা, সাংবাদিকদের উপর হামলা, এবং কারাগার থেকে "সন্ত্রাসীদের" মুক্তি ইঙ্গিত করে যে অস্থিরতা একটি স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র আন্দোলন ছিল না, বরং এটা "ইসলামী জিহাদিদের দ্বারা পরিকল্পিত। 

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

বিদ্রোহ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক
Related News