#Pravati Sangbad Digital Desk:
সুপার কোপার সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। এবারের লা লিগার রিয়াল মাদ্রিদ সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থিত আছে এবং বার্সেলোনা লীগ টেবিলে ৬ নম্বরে অবস্থান করছে। রিয়াল মাদ্রিদ দলের অবস্থা ভালো থাকলেও বার্সেলোনার অবস্থা খুবই শোচনীয়, এই মরশুমে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে চলে গেছে তাদের অন্যতম খেলোয়াড় লিওলেন মেসি, তারপর থেকেই তাদের দলের টালমাটাল অবস্থা চলতে লেগেছে। এই মরশুমে তারা নিজেদের দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় কে আনলেও আখেরে লাভ কিছুই হচ্ছে না, তার উদাহরণ দেখা গেল গতকাল। রিয়াল মাদ্রিদ এর কাছে ৩-২ গোলে পরাস্ত হয়েছে বার্সেলোনা।
গতকাল বার্সেলোনার নতুন কোচ জাভি তাদের দলকে ৪-৩-৩ ছকে সাজিয়েছিল, তাদের গোলরক্ষক ছিল টের স্টেগেন, তাদের ডিফেন্সে ছিল ডেভিড আলাবা, পিকে, রোনাল্ড আরাউজো ও দানি আলভেজ, তিনি তার পুরোনো ক্লাবে এই মরশুমে যোগদান করেন। তাদের মিডফিল্ডে ছিল গাভি, বুস্কেটস, ডি জং, ও আক্রমণভাগে ছিল দেম্বেলে, লুক দে জং, টরেস।
রিয়াল মাদ্রিদ এর অন্সলতি তার দলকেও ৪-৩-৩ ছকে সাজিয়েছিল, তাদের ডিফেন্সে ছিল মেন্ডি, নাচো, মিলিতাও, কার্ভাজাল ও তাদের মিডফিল্ডে ছিল ক্রুস, ক্যাসেমিরো, মড্রিচ ও আক্রমণ ভাগে ছিল ভিনিসিয়াস জুনিয়র, বেঞ্জেমা ও আসেন্সিও।
প্রথমার্ধ থেকেই বার্সেলোনা বল পজিশন বেশি নিয়ে খেলছিল, এবং রিয়াল মাদ্রিদ কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর প্রেসিং খেলা খেলছিল। প্রথমার্ধের প্রথম মিনিট থেকেই দুই দলই একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল একে অপরের গোল মুখে, কিন্তু ম্যাচের প্রথম গোলটি পায়ের রিয়াল মাদ্রিদ ব্রাজিলের ভিনিসিয়াস জুনিয়ার এর থেকে। এই ভিনিসিয়াস-কেই গত মরশুম গুলিতে রিয়াল মাদ্রিদএর সমর্থকরা অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলো, এই কুরুচিকর মন্তব্য গুলির কারণ ছিল ভিনিসিয়াস এর গোল মিস করা নিয়ে। কিন্তু এই মরশুমে তার খেলার ধরণ একেবারেই বদলে গেছে, ২০১৮ তে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো চলে যাওয়ার পর এই ভিনিসিয়াস কেই সকলে রোনাল্ডোর পরিবর্ত ভেবেছিল কিন্তু প্রথম দিকে তিনি ভালোভাবে নিজের খেলা প্রদর্শন করতে পারছিলেন না, কিন্তু এইবার এর ছবিটি একেবারেই আলাদা। বার্সেলোনার ডিফেন্ডার আরাউজোর ভুলে ভিনিসিয়াস প্রথম গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে ১-o গোলে এগিয়ে দেয়।
অপরদিকে ৪১ মিনিটে বার্সেলোনা এই মরসুমের নতুন খেলোয়াড় লুক দে জং বার্সেলোনার হয়ে ম্যাচের প্রথম গোল দেয়, যার ফলে সমতায় ফিরে আসে বার্সেলোনা। ১-১ হয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বেশি করে আক্রমণ করতে থাকে বার্সেলোনা, তাদের পেড্রি, দেম্বলে, দানি আলভেজ সকলেই একের পর এক আক্রমণ করছিল। কাউন্টার অ্যাটাকের কারণে ৭১ মিনিটে কার্ভাজাল এর শর্ট বার্সেলোনার টের স্টেগেন প্রতিহত করে এবং সেই বলটি বেনজেমার কাছে চলে যায়, এবং আরেকটি গোল দিয়ে দেয় আবারো রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ এ এগিয়ে যায়। ৮০ মিনিটে বার্সেলোনা একটি ফ্রী কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ এর পেনাল্টি বক্সের সামান্য বাইরে, সেখান থেকে পেড্রি ফ্রি কিক নেয় ও সেখান থেকে আন্সু ফাতি হেডার এর মাধ্যমে আবারও গোল দিয়ে নিজেদের কে সমতায় নিয়ে আসে, খেলার স্কোর হয় ২-২। ড্র হয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শেষ হয়, এবং তারপর এক্সট্রা টাইম এর খেলা শুরু হয়।
পরপর দুই বার সমতায় এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি বার্সেলোনা, এক্সট্রা টাইমে ৯৮ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ফেডেরিকো ভালভার্দে শেষ গোল দিয়ে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে, সুপার কোপার ফাইনালে পৌঁছে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।