কলকাতায় বাড়ি নির্মাণে বিল্ডিং প্ল্যান বা নকশা অনুমোদন ফি-তে ৫০ শতাংশ ছাড়
বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বড় ছাড়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাতে বলা হয়েছে, বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং প্ল্যান বা নকশা অনুমোদন ফি-তে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক কাঠা, দু’কাঠা বা তিন কাঠা জমিতে নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে এই সুবিধা পাবেন জমির মালিকরা। সেক্ষেত্রে এক কাঠা বা তার কম জমি হলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন ফি বাবদ দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। এক থেকে দু’কাঠার মধ্যে নির্মাণের ক্ষেত্রে ৭০ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। ২ থেকে ৩ কাঠার মধ্যে হলে জমির আয়তন, ফি দিতে হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। আগে এক্ষেত্রে প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজর টাকা ফি ছিল বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তবে, এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, কিছু শর্তের বিনিময়েই এই ছাড় পাবেন সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকরা। প্রথম শর্ত হল, নিজের জমিতে নিজেকেই বাড়ি তৈরি করতে হবে। প্রোমোটারকে দিয়ে বাড়ি তৈরি করানো হলে এই সুযোগ-সুবিধা মিলবে না। দ্বিতীয় শর্ত হল, শুধুমাত্র বসবাসের জন্য বাড়ি বানালেই মিলবে এই ছাড়। অর্থাৎ কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও নির্মাণ তৈরি করা হলে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রে এই ধরনের ছাড় মিলবে না। পুরসভার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা মনে করছেন, নিজেদের জমিতে বাড়ি করতে চাইছেন যাঁরা, এই ছাড়ে তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হবে।
নির্মাণ অনুমোদন..............
ক) বাড়ির নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের জন্য আবেদন করার পূর্ব শর্তাবলি :-
সংশ্লিষ্ট জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য আবেদনকারীর পূর্ণ অধিকার থাকতে হবে অর্থাৎ তাঁর কাছে জমি হস্তান্তরের দলিল, নামান্তরণ শংসাপত্র, সম্পত্তি কর বা অন্য কোনো প্রকার পৌর কর (বাড়ি তৈরির সাথে সম্পর্কিত এবং ‘গ’ অনুচ্ছেদে বর্ণিত) বাকি না থাকার শংসাপত্র থাকতে হবে।
খ) বাড়ি তৈরির জন্য অনুমোদন সংক্রান্ত বিভিন্ন খাতে নির্ধারিত মূল্য হারের ভিত্তি :-
সময়ে সময়ে এটির পরিবর্তন হয়। বর্তমান আর্থিক বর্ষে চালু নির্ধারিত মূল্য তালিকার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
গ) সাধারণ বাড়ি এবং লিফট সহ উঁচু বাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নথির তালিকা :-
তালিকা দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
ঘ) যেসব ক্ষেত্রে বাড়ি তৈরি বন্ধ রাখা বা ভেঙে দেওয়ার আদেশ জারি হয় :-
বৈধ অনুমোদন প্রাপ্ত নকশা (প্ল্যান) ছাড়া বাড়ি তৈরি করা হলে তা ভেঙে দেওয়ার আদেশ জারি করার যোগ্য। প্রাথমিকভাবে এই বেআইনি বাড়ি তৈরির ব্যাপার ধরা পড়ার পর কাজ বন্ধ রাখার জন্য একটি নোটিশ জারি করা হয় এবং কলকাতা পৌর আইন ১৯৮০-এর ৪০০(১) বা ৪০০(৮) ধারায় বিষয়টি বিচার্য্য হয়। ৪০০(১) ধারা অনুসারে, শুনানির মাধ্যমে, বিধিসঙ্গত মাত্রা এবং কাঠামোগত নিরাপত্তা বিচার করে বাড়িটি সম্পূর্ণ/আংশিক ভেঙে দেওয়া কিংবা সম্পূর্ণ বজায় রাখার আদেশ জারি করা হয়। বিপদ ও বিধিসঙ্গত মাত্রা খুব বেশি হলে, ৪০০(৮) ধারা অনুসারে শুনানির সুযোগ না দিয়েই কাঠামোটি ভেঙে দেওয়া যেতে পারে।
ঙ) বাড়ি নির্মাণ সমাপ্তি শংসাপত্রের যোগ্যতাবলি এবং নমুনা আবেদনপত্র।
চ) নথিভুক্ত বিল্ডিং সার্ভেয়ারের তালিকা।
ছ) পৌর গৃহ নির্মাণ আদালতে আবেদনের সুযোগ :
‘ঘ’ অনুচ্ছেদ উল্লেখ্য। বেআইনি বাড়িটি যদি ৪০০(১) ধারা অনুসারে শুনানি আধিকারিকের দ্বারা রায়প্রাপ্ত হয় এবং ওই রায় বাদী/বিবাদী কোনো পক্ষের সন্তুষ্টি বিধানে অক্ষম হয় তবে যে কোনো পক্ষ কলকাতা পৌর আইন ১৯৮০-এর ৪১৫ ধারা অনুসারে পৌর গৃহ নির্মাণ আদালতে আবেদন করতে পারেন।
জ) পৌর আইনের ধারা অনুসারে গৃহ নির্মাণ বিধির বিভিন্ন নিয়মাবলি :
কলিকাতা পৌর গৃহ নির্মাণ বিধিতে বর্ণিত।