বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে সমাজচিন্তক ও তরুণ লেখক জয়দেব বেরা বলেছেন "আচ্ছা আমরা কিছু হলেই বলি বুদ্ধিজীবীদের কথা।আপনারা যাঁদের কে বুদ্ধিজীবী বানিয়ে রেখেছেন আমার তো মনে হয় না উনারাই কেবল বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবী মানে কলকাতায় বসবাস করতে হবে তার কোনো মানে নেই,বুদ্ধিজীবী মানেই বিশেষ রাজনৈতিক দলের কিছু প্রভাবশালী কবি,সাহিত্যিক, অভিনেতা ও সংগীত এবং চিত্র শিল্পী হতে হবে এমনটার কোনো মানে নেই।ভালো করে বিবেচনা করুন যাঁরা কলকাতায় থাকে না বা যাঁদের কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা নেই তাঁদেরকে কিন্তু আমরা বুদ্ধিজীবী হিসাবে গণ্য করছি না।এমনটা কিসের জন্য বলুনতো? বুদ্ধিজীবী হতে গেলে কি কলকাতায় থাকতে হবে বাধ্যতামূলক এবং রাজনীতি করতে হবে সেটাও বাধ্যতামূলক? এই ধারণা গুলো পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমারতো মনে হয় প্রকৃত বুদ্ধিজীবী হলেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অর্থাৎ মনোবিদ,রাষ্ট্রবিজ্ঞানী,সমাজতাত্ত্বিক,কবি ও সাহিত্যিক,সমাজকর্মী,দার্শনিক প্রমুখগণ। এঁনারা সমাজকে এবং সমাজের মানুষকে খুব ভালোভাবে গবেষণা মূলক অধ্যয়ন করেছেন।তাই উনারাই আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে বলতে পারবেন এবং সমাধানের বিষয় গুলোও জানাতে পারবেন।আমরা উনাদের বুদ্ধিজীবী না বানিয়ে কলকাতার কিছু মুষ্টিমেয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে বুদ্ধিজীবী বানিয়ে মাথায় করে রেখে দিয়েছি। কিছু হলেই মোমবাতি নিয়ে ড্রামা করে। প্রকৃত অর্থে সমাধানের পথ বলেও না,সঠিক বিচার বা সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে সেচ্চারও হয় না।যদিও উনারা জনেনও না।তাই ওই কলকাতার থেকে বেরিয়ে আসুন আর শিক্ষাবিদদেরকে বুদ্ধিজীবীর আসনে বসান। যদিও কবি,সাহিত্যিক,সংগীত শিল্পী,চিত্র শিল্পী এবং অভিনেতাও বুদ্ধিজীবী হতে পারেন কিন্তু তাঁদেরকে যে কলকাতার হতে হবে এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি।যাঁরা যোগ্য তাঁদেরকেই আমরা এই আসনে বসাতে পারি।তার জন্য প্রয়োজন নেই কলকাতাতে থাকা কিংবা রাজনীতি করা।"