#Pravati Sangbad Digital Desk:
দিনের শুরুতেই চাই এক কাপ গরম চা। সারা দিনে একবারও চা খান না, এমন মানুষের সংখ্যাটা বোধহয় হাতে গোনা। আবার এমনও অনেকে আছেন যাদের সারাদিনে অন্তত ৮-১০ কাপ চা না খেলে চলে না। দুধ চা হোক বা আদা দেওয়া সুগন্ধী পাতার লাল চা, চায়ের নেশাটা কম-বেশি প্রায় সকলেরই রয়েছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, মাত্রাতিরিক্ত চা খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ এমনকি প্রস্টেট ক্যান্সার বা মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে অতিরিক্ত চা পানে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, মাত্রাতিরিক্ত চা খাওয়ার অভ্যাস কোন কোন মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে-
ঘুমের জটিলতা
গবেষণায় দেখা গেছে, চা পানের অভ্যাস আছে এমন বেশির ভাগ মানুষের অনিদ্রা রোগের অন্যতম কারণ হলো চা। চায়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। যা মস্তিষ্ক উত্তেজিত রাখতে কাজ করে এবং মেলাটোনিন হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। যার কারণে স্বাভাবিক ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
মানসিক সমস্যা
স্বাভাবিক মাত্রার অধিক চা পানে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। এতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বাড়ে। তবে ভেষজ চা বা ক্যামোমাইল ও গ্রিন টিতে এসব সমস্যা নেই। গ্রিন টি শরীরের জন্যও উপকারী। তাই বেশি বেশি সাধারণ চা পানের চাইতে পরিমাণমতো ভেষজ চা পান করতে চেষ্টা করুন।
পুষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা
চায়ে অধিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে, যা হজমে সমস্যা তৈরি করে। খাবার ঠিকমতো হজম না হলে শরীরে পুষ্টি শোষণের মাত্রা কমে যায়। এ ছাড়া ক্যাফেইনের পাশাপাশি চায়ে ট্যানিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে, যা খাবার থেকে লৌহ শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। চা পানের অভ্যাস থাকলে তা খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পান করা উচিত নয়।
অ্যাসিডিটি
চায়ে বিদ্যমান ক্যাফেইন এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি করে। এর থেকে পেট ফুলে যাওয়া, বুক জ্বালাপোড়াসহ অস্বস্তির মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা খাদ্যনালির দিকে পাকস্থলীর অ্যাসিড ঠেলে দেয়ার পেছনেও অন্যতম কারণ অতিরিক্ত চা পান।
গর্ভবতী নারীদের সমস্যা
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চা পান মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ঝুঁকির কারণ। এতে শিশুর নানা রকম শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভূমিষ্ট হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
মাথাব্যথা
অনেকে মনে করেন, চা পান মাথাব্যথার টনিক হিসেবে কাজ করে। ক্ষেত্রবিশেষে এটি একটি ভুল ধারণা। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ মাথাব্যথা কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে দিতে পারে। আর চা পান যদি অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায় তখন বেশিক্ষণ চা না খেয়ে থাকলেও মাথাব্যথা হতে পারে।
বমিভাব
চায়ে এক ধরনের কষভাব থাকে, যা হজমে সমস্যা তৈরি করে। আর ঠিকমতো খাবার হজম না হওয়ার ফলে বমিভাব হয়। এ ছাড়া মাথার যন্ত্রণা থেকেও বমিভাব হতে পারে।