#Pravati Sangbad Digital Desk:
ওজন ঝরানোর জন্য কত কসরতই না করি আমরা। কখনও সকালে দৌড়ঝাঁপ কখনও আবার জিমে গিয়ে ঘেমেনেয়ে একসা। কিন্তু এক শরবতেই হতে পারে কামাল। জানেন কি সেই রেসিপি। বিভিন্ন চাট হোক কিংবা ফুচকা— মুখরোচক খাবারের স্বাদ বাড়াতে তেঁতুলের জবাব নেই। বাড়িতে তেঁতুলের ব্যবহার হয় কোনও ঘরোয়া কাজে, নয়তো খাদ্যে স্বাদ বাড়ানোর উপাদান হিসাবে। কিন্তু তেঁতুলের স্বাস্থ্যকর আরও কিছু দিক রয়েছে, তা জানেন কি? তেঁতুলের মধ্যে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করে শরীরের বিভিন্ন কোষে তা পৌঁছে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পরোক্ষ উপায়ে রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তেঁতুলে উপস্থিত উৎসেচক শরীরে শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। ফলে ডায়াবিটিসকে অনেকটাই প্রতিরোধ করে তেঁতুল। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম জলে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যেগুলি শারীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধেও তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকর। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন তেঁতুলের শরবত
বেশ খানিকটা তেঁতুল জলে ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুল নরম হয়ে গেলে ক্বাথ বের করে নিন। এ বার একটি গ্লাসে দু’চামচ তেঁতুলের ক্বাথ, ভাজা জিরে শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, বিটনুন, গেলমরিচের গুঁড়ো আর এক চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে নিন। বরফ আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন তেঁতুলের শরবত।