#Pravati Sangbad Digital Desk:
এতদিন ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য রাজ্যবাসীকে ছুটতে হতো মুম্বাই নাহলে টাটা, তবে আর নয় এবার থেকে মহানগরীতেই মিলবে উন্নত ক্যান্সার চিকিৎসা।দিল্লির প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন রাজারহাটের নতুন চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনিও যোগ দেবেন প্রযুক্তির মাধ্যমে। তবে নবান্ন থেকে নয় তিনি যোগ দেবেন কালীঘাটে নিজের বাড়ির কার্যালয় থেকে। কাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, “এই করোনা পরিস্থিতিতে আমি ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ওপর জোর দিচ্ছি, আমার গাড়ির চালক করোনা আক্রান্ত, আমি যদি নবান্নে আসতে চাই তাহলে পুলিশকর্মীদের আবার জমায়েত হতে হবে, এই পরিস্থিতিতে আমি সেটা চাই না”। ঠিক একই কারণে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে হাজির থাকছেন না দেশের প্রধানমন্ত্রী। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করবেন তিনি।
দেশের স্বাস্থ্যের বিকাশেই জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই এই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তিনি তৈরি করেছেন। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশের সর্বত্র স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার দিকেই জোর দিয়েছিলেন তিনি, আর সেই মতোই ইনস্টিটিউট তৈরির কাজ শুরু হয়, তবে নিজে এসে উদ্বোধন করার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য তা আর হয়ে উঠলো না।
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টাই দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ্য ১৭ হাজারের কিছু বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধিনে থাকছে এই নতুন হাসপাতাল। থাকছে ক্যান্সার চিকিৎসার আধুনিক সুবিধা, উন্নত পরিষেবা। এমনকি নিউক্লিয়ার মেডিসিনের সুবিধাও থাকছে এই ক্যাম্পাসে। রোগীর আত্মীয়দের রাত্রিযাপনের জন্য জেতে হবে না অন্যত্র, কারণ ক্যাম্পাসের মধ্যেই থাকবে অতিথি নিবাস, খাওয়ার সুবন্দোবস্ত এবং চিকিৎসকদের জন্য থাকবে আবাসন।
চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরিতে প্রায় হাজার কোটির কাছাকাছি খরচ হয়েছে। হাসপাতালে থাকবে প্রায় ৭৫০এর বেশি বেড। এর আগে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অন্যত্র যাওয়া ছিল খুব অসুবিধার, অনেক সময় রোগীর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ত যে তাকে নিয়ে অন্যত্র যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠত না, যার ফলে কাছাকছিতে ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরির দাবি ছিল অনেক দিনেরই, এবার সেই দাবি পূর্ণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, ফলে স্বভাবতই খুশি সাধারণ মানুষ।