Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Monday, September 22, 2025

করোনা কালে বন্ধ হতে পারে স্কুল কলেজ , তবে বহাল রইল গঙ্গাসাগরের উৎসব !

banner

journalist Name : Trina Bhattacharya

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আজ সাগরের প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বাড়াবাড়ি নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। স্কুল খোলা থাকবে কিনা রিভিউ করুন। স্কুলে বেশি আক্রান্ত হলে, প্রয়োজনে কিছুদিন স্কুল বন্ধ থাকবে।“ রাজ্যে ইতিমধ্যেই বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ৩রা জানুয়ারী থেকে রাজ্যে বিধিনিষেধ বাড়ার সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতায় আবার কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করাও হতে পারে। এমনি ইঙ্গিত পাওয়া গেলো এইদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। আবার লোকাল ট্রেনও কমানোর সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে সংক্রমণ বাড়ার ওপর।
একইসঙ্গে দরকারে ৫০ শতাংশ কর্মীর ওয়ার্ক ফ্রম হোম করানর সম্ভাবনাও বাড়ছে আবার। এইদিন বৈঠকে শিক্ষা সচীবকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে থার্ড ওয়েভ এসে গিয়েছে। ওমিক্রনও বাড়ছে। এই অবস্থায় স্কুল, কলেজ খোলা রাখা যাবে কিনা দেখে নাও।“ তিনি আরও বলেন, “যদি দেখ, বেশি কেস বাড়ছে, থার্ড ওয়েভ হচ্ছে। আমরা কিন্তু তাহলে আবার কিছুদিনের জন্য স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দেব।“ পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের দিকেও নজর দিতে বলেন তিনি। তিনি সেইসব মানুষের দিকে নজর দিতে বলেন যারা বাইরে থেকে ফ্লাইটে আসছে। বলেন যে, বাইরে থেকে ফ্লাইটে আসাতে কোভিড বাড়ছে। ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট নিয়ে ডিসিশন নাও। দেখে নাও, দরকার হলে কলকাতার কন্টেইনমেন্ট জোন, ওয়ার্ড ভিত্তিক কন্টেইনমেন্ট জোন করতে হবে। ৫০ পার্সেন্ট ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে। দেখে নাও, আবার রিভিউ কর।

লোকাল ট্রেনও প্রয়োজন হলে কমাতে হবে। তবে ট্রেন এখনই কমাবেন না। গঙ্গাসাগর আছে। অনেক মানুষ আসেন। তবে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। ২ তারিখের পর দরকারে কিছু বিধিনিষেধ জারি করতে হবে।"  
মুখ্যমন্ত্রী এইরুপ মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় যে আবার শুরু হতে ছলেছে বিধিনিষেধ। ৩রা জানুয়ারী থেকেই চালু হবে এই ব্যাবস্থা। তবে এইদিন আবার কেন্দ্রের দিকে ক্ষোভ দেখান তিনি। অধিকাংশ লকের টিকাকরন হয়নি, এদিকে বুস্টার ডোজ দিতে চলেছেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তবে তিনি এইও বলেন যে, অযথা চিন্তার কারন নেই। যথাসম্ভব সর্তক থাকলেই হবে।

তবে অধিকাংশ মানুষের প্রশ্ন, যদি ওমিক্রন বাড়ে, তবে এখন এই উৎসবের প্রয়োজন কী? এতজন মানুষ বাইরে থেকে আসতে চলেছে এই দিন। সেটাকি যথেষ্ট ভয়ের কারন নয়?    
Related News