#গঙ্গাসাগর:
কথায় আছে সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর একবার। সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা আর তার আগেই গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 8 জানুয়ারি থেকে শুরু গঙ্গাসাগর মেলা চলবে 16 জানুয়ারি পর্যন্ত, পঞ্জিকা মতে 14 তারিখ বেলা 11 টা থেকে 15 তারিখ ভোর 5 টা পর্যন্ত পুণ্যস্নানের তিথি। প্রত্যেক বছরই গঙ্গাসাগর মেলা ঘিরে মানুষের উত্তেজনা থাকে চোখে পড়ার মতো, মেলায় মানুষের ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে প্রশাসনের। তবে এই বছর গঙ্গাসাগর মেলার উপরে প্রশাসনের নজরদারি থাকছে কারণ ইতিমধ্যেই করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রণ সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলার উদ্যোক্তা এবং দক্ষিণ 24 পরগনার প্রশাসনিক আধিকারিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেছেন। গঙ্গাসাগর মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক ভক্ত সমাগম ঘটে। এবছরের মেলায় আইন শৃঙ্খলা এবং কোভিড বিধির ওপর ভর্তি নজরদারি রাখছে প্রশাসন। রাজ্যে এখন দৈনিক করোনা আক্রান্ত 500 উপরে ঘোরাফেরা করছে গঙ্গাসাগর মেলার ফলে যাতে সেই সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বাড়তে না পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে মেলার জন্য দেশ কতগুলি হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে, সাথে রয়েছে কন্ট্রোল রুম এবং 13 টি স্বাস্থ্য শিবির। যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা মেলার মধ্যে ঘটতে না পারে সেই জন্য মেলা চত্বরকে কয়েক হাজার সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে। আগের বারের মত এই বছরও মেলায় ভিআইপি আনাগোনায় রাস টানা হয়েছে।
মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দিন গঙ্গাসাগরে নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলা কে জাতীয় মেলা তকমা দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের পরিচালকদের সাথে কথা বলেন এবং মেলার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের কথা এবং রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যাতে মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের কোন রকম অসুবিধা সম্মুখীন হতে না হয়। কুম্ভ মেলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের উদারতা এবং গঙ্গাসাগর মেলার প্রতি উদাসীন মনোভাবকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি কপিল মুনির আশ্রম পরিদর্শন করেন পুজো দেন সেখানে। বাঙ্গালীদের পাশাপাশি অনেক হিন্দিভাষী মানুষ এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন তাই তাদের উদ্দেশ্যে মেলা চত্বরে হিন্দিভাষী পোস্টার লাগানো হয়েছে সেই সাথে লাগানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রকল্পের পোস্টার। মঙ্গলবার বিকেলে কপিল মুনির আশ্রম এ পূজা দিয়ে সেখানকার প্রধান পুরোহিত এর সাথে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাদের সমস্যার কথা জানতে চান। তিনি আরো বলেন গঙ্গাসাগর মেলা কে জাতীয় মেলা তকমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকার কে চিঠি দিয়েছেন তিনি। মেলার প্রস্তুতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে করণা বিধি মেনে চলার আর্জি জানিয়েছেন।