Flash News
Monday, September 22, 2025

সম্রাটহীন ফুটবলবিশ্ব, প্রয়াত পেলে

banner

journalist Name : Sampriti Gole

#Pravati Sangbad digital Desk:

আটলান্টিক মহাসাগরে বিলীন হয়ে গেলেন অ্যারেন্তেস ডু ন্যাসিমেন্টো এডসন, বিশ্ব ফুটবল যাঁকে দীর্ঘ আট দশক চিনে এসেছে ‘পেলে’ নামে।

ফুটবলের প্রথম সন্তান বলতে যা বোঝায়, পেলে তাই ছিলেন। ফুটবল অনেকে বোঝেন না, কিন্তু পেলেকে বোঝেন, তাঁকে চেনেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সেই ফুটবল সম্রাটের জীবন থামল শুক্রবার ভারতীয় সময়ে রাত ১২টা নাগাদ। ব্রাজিলের স্থানীয় সময়ে বিকেল সাড়ে তিনটা। ৮২ বছরে থামলেন জীবনের মাঠে। রেখে গেলেন বহু কীর্তিমালা, বহু ঘটনার সমারোহ, যা আগামী ফুটবল ইতিহাসকেও সমান আলোকিত ও উজ্জ্বল করে রাখবে। 

বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন পেলে। মৃত্যুকালে ব্রাজিলীয়য় তারকার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুখে ভুগছিলেন তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি। হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। শেষরক্ষা আর হল না। ফুটবলবিশ্বকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন তিনি। 

ফুটবল জগতের নক্ষত্রপতনে শোকে মূহ্যমান মেসি-রোনাল্ডো থেকে শুরু করে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা।

বিশ্বকাপের মধ্যেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল পেলেকে। জানা গিয়েছিল, তাঁর সর্বাঙ্গ ফুলে রয়েছে, কেমোথেরাপিও কাজ করছে না। শারীরিক সমস্যার জন্য ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে পারছেন না ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার। সেই সঙ্গে রয়েছে হৃদযন্ত্রের সমস্যাও। এমনকি কাউকে চিনতেও পারছিলেন না। দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন পেলে। যন্ত্রণাদায়ক কেমোথেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল ব্রাজিলীয় কিংবদন্তিকে।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ব্রাজিলের বিখ্যাত ক্লাব স্যান্টোস থেকে ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেন পেলে। এই ক্লাবের নামের সঙ্গে সমার্থক হয়ে যায় তাঁর নাম। স্যান্টোসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসাবে ইতিহাসে খোদাই হয়ে যায় পেলের নাম। দীর্ঘ ১৯ বছর পরে এই ক্লাবের সঙ্গে যোগসূত্র ছিন্ন করে কসমসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই ক্লাবের সূত্র ধরেই ফুটবলপ্রেমী কলকাতার ময়দানে পায়ের জাদু দেখাতে এসেছিলেন ফুটবল সম্রাট।

১৬ বছর বয়সেই জাতীয় দলের হয়েও অভিষেক হয় পেলের। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধেই গোল করেছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপেই যাত্রা শুরু হয় অমর পেলে-গ্যারিঞ্চা জুটির। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপেই ট্রফি জিতেছিলেন পেলে। বর্ণময় ফুটবলার কেরিয়ারের তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। ১৯৭৭ সালে কসমসের হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে আসেন ফুটবল সম্রাট। সেই ম্যাচে গোল করতে না পারলেও কলকাতার মন জয় করে নিয়েছিলেন ব্ল্যাক পার্ল। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। কাতারে বিশ্বকাপ দেখতেও যেতে পারেননি তিনি। বিশ্বকাপ শেষের পরেই এল হৃদয়বিদারক খবর। থেমে গেল তাঁর লড়াই।

তাঁর জীবনবসানের সঙ্গে সমাপ্তি ঘটল এক অনন্য রূপকথার যেখানে শুধুই ফুটবল নয়, রয়েছে এক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের আকাশ ছোঁয়ার কাহিনি, কোটি কোটি হেরে যাওয়া মানুযের চোখে স্বপ্ন বুনে দেওয়ার আখ্যান।

আপনি শান্তিতে বিশ্রাম নিন সম্রাট। আমরা আজন্ম নতজানু রইলাম আপনার সামনে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

ফুটবল বিশ্ব খেলা আন্তর্জাতিক
Related News