#Pravati Sangbad Digital Desk:
বছর শেষে আরও এক নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন শক্তি সতীর্থ শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়। বার্ধক্য জনিত সমস্যাই ভুগছিলেন অনেক দিন ধরেই, মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। সোমবার ভোর রাতে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে গরিয়াহাট এর কাছে মেঘ মোল্লার আবাসনের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শকস্তব্ধ গোটা সাহিত্য সমাজ।
১৯৩১ সালে তৎকালীন পরাধীন ভারতের ওড়িশ্যার পুরীতে জন্ম হয় কবি শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের। অবশ্য ছোটবেলা কেটেছে বেনারসে। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়য় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এর পরে চার্টার্ড ম্যানেজম্যান্ট ইন্সটিটিউট থেকে অ্যাকাউন্টেন্সি পাশ করেন। অ্যাকাউন্টেন্সি পাশ করার পরে যুক্ত হন সেই পেশাই, তবে পেশার জন্য তার কবি প্রতিভা কোন দিনই থমকে থাকেনি। কবি শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ সোনার হরিণ। নরেন্দ্র দেব সম্পাদিত পাঠশালা পত্রিকাই ১৯৪৭ সালে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। কবি প্রথম জীবনে নমিতা মুখোপাধ্যায় এবং ত্রিশঙ্কু ছদ্মনামে তার কাব্যগ্রন্থ লিখতেন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কৃত্তিবাস পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন বহুদিন। তার রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ গুলি হল অন্ধকার লেবুবন, আহত ভ্রবিলাস, মৌরির বাগান এবং কিছু নতুন কবিতা ইত্যাদি। শারদীয়া দেশ পত্রিকাই তার প্রথম উপন্যাস সহবাস প্রকাশিত হয়েছিল, যা পাঠকদের মুগ্ধ করেছিল। ২০০৯ সালে কবি শরৎকুমার মুখোপাধ্যায় তার ঘুমের বড়ির মতো চাঁদ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান।
এছাড়া তার বাকি উপন্যাস গুলি হল, কথা ছিল, আশ্রয়, চার পাই ভাই ভাই, রেল কামরার যাত্রীরা, নাশপাতির গন্ধ ইত্যাদি। কবি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ শরৎদার মৃত্যুতে খুবই শোকাহত আমি, তার মৃত্যুতে আত্মীয় বিয়োগের মতো কষ্ট হচ্ছে”।