Flash News
Monday, September 22, 2025

প্রয়াত "City of joy"খ্যাত লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের

banner

journalist Name : Susmita Das

#Pravati sangbad Digital Desk:

চলে গেলেন ‘সিটি অব জয়’ এর লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের।মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। এই দেশ এবং বিশেষ করে কলকাতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল নিদারুণ। তাই তো, এই শহরকে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরেছিলেন লেখক।

বার্ধক্য জনিত রোগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।তাঁর স্ত্রী ডমিনিক কনচোন লাপিয়ের একটি ফরাসি সংবাদপত্রকে এই খবর জানিয়েছেন। রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ডমিনিক কনচন লেপিয়ের বলেন, "এখন অনেকটা শান্তি এবং আনন্দে আছেন তিনি কারণ, তিনি আর কষ্ট পাচ্ছেন না।" 

জন্মসূত্রে ফরাসি হলেও ভারতের প্রতি তাঁর টান ছিল অগাধ। এই দেশের প্রতি পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান ছিল তার।

১৯৩১ সালের ৩০ জুলাইয়ে চ্যাটেলিলনে জন্ম হয় ডমিনিকের। দ্রত লেখক হিসেবে ফরাসি সাহিত্য মহলে নিজের জায়গা করে নেন। ল্যাপিয়ের এবং আমেরিকান লেখক ল্যারি কলিন্সের (Larry Collins) লেখা ছয়টি বইয়ের প্রায় ৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘ইজ প্যারিস বার্নিং?’ (“Is Paris Burning?) যেটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে।  যেখানে  ১৯৪৪ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত ঘটনাগুলি বর্ণনা করে। সেই সময় নাৎসি জার্মানি ফরাসি রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ সমর্পণ করে। ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা এবং গোর ভিদাল রূপালী পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন।এছাড়াও উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল, অর আই উইল ড্রেস ইউ ই মোরিং (১৯৬৮), ও জেরুজালেম (১৯৭২), ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট(১৯৭৫), দ্য ফিফথ হর্সম্যান (১৯৮০)।


 তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলির মধ্যে রয়েছে" সিটি অফ জয়।"   ‘সিটি অফ জয়’ প্রকাশিত হয়েছিল  ১৯৮৫ সালে। কলকাতা শহরের এক রিক্সাচালকের কষ্টের জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছিল  বইতে  বইটিতে। পরবর্তীকালে সিটি অফ জয়’ উপন্যাসটিকে ভিত্তি করে ১৯৯২ সালে সিনেমা তৈরি হয়েছিল। সেই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ওম পুরি (Om Puri), সাবানা আজমি (Shabana Azmi), প্যাট্রিক সোয়েজ (Patrick Swayze) প্রমুখ। পরিচালনা করেন রোল্যান্ড জোফ (Roland Joffe)।ল্যাপিয়ের সিটি অফ জয় থেকে পাওয়া রয়্যালটি ভারতের মানবিক প্রকল্পে দান করেছিলেন । তাঁর অর্থ সাহায্যে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপের বাসিন্দাদের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হয়েছিল ভাসমান ক্লিনিক।বিচ্ছিন্ন দ্বীপে যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসায় অকাতরে সাহায্য করেছেন। হাওড়ায় অনাথ ছেলেমেয়েদের স্কুল চালানোর জন্যেও প্রভূত অনুদান দিয়েছেন।

 একটি প্রথম সারির  সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে  তার সঙ্গী মার্কোস জানায় ,১৯৮৭ সালে প্রথম কলকাতায় আসেন ডমিনিক। প্রথমে  ডমিনিক থাকতেন হাও়ডার পিলখানা বস্তিতে ৫ নম্বর বিএল রায় রোডে। এখানে থাকাকালীনই 'দ্য সিটি অফ জয়' লেখেন। তখন থেকেই লেখকের সঙ্গী ছিলেন মার্কোস টোপ্পর। মার্কোস   আরও জানান, 'ডমিনিক এত বড় মাপের মানুষ হয়েও একেবারে সাধারণ জীবন কাটাতেন। যে সব প্রতিষ্ঠানকে উনি অনুদান দিতেন, সেখানেই থাকতেন। যা পাওয়া যেত, তাই খেতেন। কোনও দিন হোটেলে থাকতে দেখিনি।'

 উল্লেখ ,১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষদের জীবনে কী প্রভাব পড়ল, তা নিয়ে গবেষণা করতে ৩ বছর মধ্যপ্রদেশে ভোপালে ছিলেন তিনি। গ্যাস দুর্ঘটনার শিকার যে সমস্ত মানুষজন, তাঁদের বয়ানে প্রাণ পেয়েছিল ‘ফাইভ পাস্ট মিডনাইট ইন ভোপাল’। ২০০৮ সালে লাপিয়েরকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে ভারত সরকার। 

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

ব্যক্তিত্ব আন্তর্জাতিক
Related News