#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:
২০২০ সালটা প্রত্যেক মানুষের কাছে স্বরনীয়। করোনা নামক এক ভাইরাসের দাপট ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ মারা যায়, ঘরছাড়া হয় অনেকে, অনাথ হয়ে পড়ে বহু শিশু। এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সারা দেশ জুড়ে শোনা যাচ্ছিলো কেবল মৃত্যুর আওয়াজ। বহু চিকিৎসক মৃত্যু বরণ করেছে হাসিমুখে। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। চীনের পর ভারতে এসে মানুষের নিত্যজীবন একধাক্কায় বদলে দেয়।
এই পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি হয়ে পরে অনেকে। ভগবানের রূপে দেখা গিয়েছিল চিকিৎসকদের। এতো কিছুর শেষে প্রায় ২ বছর পর যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল ঠিক তখনই আবার দেখা মিললো করোনার। চোখ রাঙিয়ে উঠেছে চীনের দিকে। আক্রান্ত হতে পারে কয়েক লক্ষ মানুষ।
করোনার সময়কালে চিনে ছিলো কড়া নীতি নিয়ম। মাস্ক যেনো জীবনেরই একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। তবে এটাই শেষ নয় , আবারও মাস্ককে জীবনের একটি অংশ হতে সাহায্য করছে করোনা। সেইসময় জারি ছিলো কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম।
তবে এবার গোড়া থেকেই সতর্ক চিন। পুনরায় করোনার প্রভাব পড়তে না পড়তেই হাসপাতালগুলিতে আরও বেশি করে ইনটেনসিভ কেয়ার পরিষেবা তৈরি রাখছে চিনা সরকার। তবে ইতিমধ্যেই কোভিড নিয়ন্ত্রণকারী বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে শি জিনপিং সরকার।
রবিবার সরকারি ভাবে চিনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৮৩৮। বিশেষজ্ঞদের মতে , আগামী কয়েদিনের মধ্যেই চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লক্ষ ছুঁতে পারে। চিনের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান বলেন , " মাত্র কয়েক হাজার আক্রান্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন শহরে অন্তত কয়েক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে। একজন আক্রান্তের থেকে ১৮ জনের মধ্যে এই রোগ ছড়াতে পারে "।
করোনা নিয়ন্ত্রণে জিরো কোভিড নীতি নিয়েছিল জিনপিং প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার তৈরি হচ্ছে চিনের প্রশাসন। হাসপাতালগুলিকে তৈরি রাখার পাশাপাশি ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহের উপরে নজর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স, এমন বাসিন্দাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিনের রাজধানী বেজিংয়েও পরিস্থিতি অবনতির দিকে এগোচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দাদের দিনে একাধিকবার করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। কিন্তু অফিস , স্কুলের মতো যেখানে বেশি মানুষের জমায়েত, সেখানেই সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। এমনকি, কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেজিংয়ের বেশ কিছু রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।