#Pravati Sangbad Digital Desk:
রাজ্যে সন্দেহের চোখে আরো দুজন খোদ কলকাতাতেই আরো দুজন এর শরীরে অমিক্রণ এর চিহ্ন মিলল। তাদের মধ্যে একজন গত 10 ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ড থেকে কলকাতায় আসেন। কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক যে পরীক্ষা হয় তাতে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তবুও তাকে নিয়ম অনুযায়ী বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে সাত দিন থাকতে বলা হয়। সাত দিনের পরে করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সোমবার থেকে বেলেঘাটা আইডি হয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে ওমিক্রণ সন্দেহেই ধরা হয়েছে। তবে ওই তরুণী খুব সামান্য উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গেছে। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন বেশ কয়েকদিন আগে ইংল্যান্ড থেকে আসা এক যুবক। জিনিয়ো কলকাতাতেই আসেন। একইভাবে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার পর পুনরায় যখন তার করোনা পরীক্ষা করা হয় তখন সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একইভাবে ওই যুবকের কোন উপসর্গ ছিল না। তাকে বাড়িতে স্বাস্থ্য দপ্তরের পর্যবেক্ষণে আইসোলেশন এ রাখা হয়েছে।
এই যুবকের তত্ত্বাবধানে আছে এক বেসরকারি হাসপাতাল। আজ আবারো ওই দুজনেরই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং এর জন্য পাঠানো হচ্ছে। এই মধ্যে আরো তিনজন বিদেশ ফেরতের লালারসের নমুনা একইদিনে জিনোম সিকুয়েন্সের এর জন্য পাঠানো হয়। এই তিনজনের মধ্যে একজন নাইজেরিয়া থেকে আসা এক বৃদ্ধ, লন্ডন থেকে আসা 19 বছরের তরুণ এবং 18 বছরের এক বালক যে এসেছে সুইডেন থেকে। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের এক বালক ইতিমধ্যে অমিক্রণ আক্রান্ত হয়েছে। তারাও বিদেশ ফেরত। একসাথে ফেরা বাড়ির বাকি আরো 3 সদস্যের রিপোর্ট দুবারই নেগেটিভ তার আসে পজেটিভ। আরো দুজনের অমিক্রণ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল অন্য রাজ্যে থাকার সময়। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তারা দুজনেই এখন নেগেটিভ।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর দিল্লিতে এক ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কলকাতায় বসবাসকারী ওই ব্যক্তিকে 10 ই ডিসেম্বর দিল্লির হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তার রিপোর্টে কটি ফাঁসি এবং তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন তার বাড়িতে। বর্তমানে কোন ব্যক্তি তার স্ত্রী এবং মেয়ে তিনজনের ই কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ তাও স্বাস্থ্য দপ্তরের তত্ত্বাবধানে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে সন্দেহভাজন হিসেবে মোট পাঁচ জনকে রাকা হয়েছে। যাদের জিনোম সিকোয়েন্স এর রিপোর্ট এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই। জিনোম সিকোয়েন্সিং রিপোর্টের ওপর নির্ভর করেই এই সন্দেহভাজনেরা অমিক্রণ আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত করা যাবে এমন টাই বলেছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা। তবে রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে করোনার নতুন প্রজাতির আশঙ্কা। তীব্র হচ্ছে আবার মহামারীর প্রভাব। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে আগের মতই করণা বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।