#Pravati Sangbad Digital Desk:
অনেকেরই সকাল বেলা এক কাপ চা না হলে হয় না। দিনের শুরুটা যদি হয় চায়ের হাত ধরে তবে যেন পুরো দিনেই থাকে চনমনে ভাব। তবে আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন চা কি উপকারী নাকি ক্ষতিকর? এ নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীদের সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা মত থাকলেও গবেষকরা কিছু ধরনের চা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, কিছু ধরনের চা আমাদের ওজন ও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। চায়ের এতো জনপ্রিয় হওয়ার মূলে রয়েছে ক্যাফেইন নামক উপাদান। ক্যাফেইন একটি মৃদু উত্তেজক উপাদান যার ফলে চা পান করলে শরীর চাঙা হয় ও ঝরঝরে লাগে। তবে অতিরিক্ত চা পান করা আবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। চায়ের মধ্যেও আছে বিভিন্ন ধরন। সব ধরনের চা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আপনার পছন্দের চায়েরই যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, তা আমাদের মাথাতেই আসে না। শুনলে অবাক হবেন, চায়েরও রয়েছে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। জেনে নিন সেগুলো কী কী-
মানসিক সমস্যা
স্বাভাবিক মাত্রার অধিক চা পানে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। এতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বাড়ে। তবে ভেষজ চা বা ক্যামোমাইল ও গ্রিন টিতে এসব সমস্যা নেই। গ্রিনটি শরীরের জন্যও উপকারী। তাই বেশি বেশি সাধারণ চা পানের চাইতে পরিমাণমতো ভেষজ চা পান করতে চেষ্টা করুন।
পুষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা
চায়ে অধিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে, যা হজমে সমস্যা তৈরি করে। খাবার ঠিকমতো হজম না হলে শরীরে পুষ্টি শোষণের মাত্রা কমে যায়। এ ছাড়া ক্যাফেইনের পাশাপাশি চায়ে ট্যানিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে, যা খাবার থেকে লৌহ শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। চা পানের অভ্যাস থাকলে তা খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পান করা উচিত নয়।
ঘুমের জটিলতা
গবেষণায় দেখা গেছে, চা পানের অভ্যাস আছে এমন বেশির ভাগ মানুষের অনিদ্রা রোগের অন্যতম কারণ হলো চা। চায়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। যা মস্তিষ্ক উত্তেজিত রাখতে কাজ করে এবং
মেলাটোনিন হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। যার কারণে স্বাভাবিক ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
কোষ্ঠকাঠিন্য
থিওফিলাইন এক ধরনের রাসায়নিক। যা চায়ে থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা তৈরি করে। অনেকেই মনে করেন, সকালে গরম গরম চা খেলে পেট পরিষ্কার হয়। তা সঠিক নয় ,অতিরিক্ত চা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।
অ্যাসিডিটি
চায়ে বিদ্যমান ক্যাফেইন এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি করে। এর থেকে পেট ফুলে যাওয়া, বুক জ্বালাপোড়াসহ অস্বস্তির মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা খাদ্যনালির দিকে পাকস্থলীর অ্যাসিড ঠেলে দেয়ার পেছনেও অন্যতম কারণ অতিরিক্ত চা পান।
গর্ভবতী নারীদের সমস্যা
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চা পান মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ঝুঁকির কারণ। এতে শিশুর নানা রকম শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভূমিষ্ট হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
মাথা ঘোরা
চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন থাকে, যার ফলে মাথা ঘোরাতে পারে। যখন কেউ বেশি পরিমাণে অর্থাৎ ৪০০-৫০০ মিলিগ্রামেরও বেশি ক্যাফিন গ্রহণ করে তখন এটি ঘটে। তবে, ক্যাফিনের প্রতি সংবেদনশীল বা উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তি স্বল্প পরিমাণে চা খাওয়ার পরেও চঞ্চল বোধ করতে পারে।
ক্যান্সার গবেষকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা অতিরিক্ত চা খেয়ে থাকেন, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা বেশি থাকে।