#Pravati Sangbad Digital Desk:
বিট হল এমন একটি সবজি যাতে পুষ্টিকর গুন থাকা সত্ত্বেও বাচ্চারা তো একেবারেই পছন্দ করে না। বড়রাও যে চেটে পুটে খায় তা নয়। আর রংটাও এমন যে লুকিয়ে ছোটদের খাওয়ানোর উপায় নেই। তবে বিট যদি এমনভাবে রান্না করা যায় যাতে দেখতেও সুন্দর লাগে আর খেতে। বিট আসলে একধরনের মূলজাতীয় সবজি। অর্থাৎ বিটগাছের মূলই হচ্ছে এর প্রধান খাদ্যোপযোগী অংশ। সাধারণত, এই বিটের মূল গাঢ় বেগুনি-লাল বর্ণের হয়ে থাকে। বিটের চোখজুড়ানো লাল রং আসলে বিটালাইন বা এনথোসায়ানিনযুক্ত রঞ্জক পদার্থেরই অবদান। কিন্তু পৃথিবীতে হলুদ, সাদা, এমনকি বহুরঙা বিটরুটও পাওয়া যায়। অসম্ভব রসাল এই প্রধানত বেগুনি-লাল বিটে জলীয় অংশ অনেক বেশি। তাই খোসা ছিলতে বা কাটতে গেলেই একেবারে ছলকে রক্তবর্ণ রস বেরিয়ে আসে। বিট মিষ্টি স্বাদের হয়। সেই সঙ্গে মিষ্টি আলুর মতোই খুব অন্য রকম একটা মেটে ফ্লেভার পাওয়া যায় বিটে। বিট থেকে বিভিন্ন দেশে চিনিও উৎপাদিত হয়। এটি কাঁচা অবস্থায় সালাদে, সেদ্ধ বা বেক করে, বিভিন্ন অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে স্যুপ, স্টার ফ্রাই, সস বানিয়ে ইত্যাদি মজার মজার কায়দায় খাওয়া যায়। বিটের পাতাও শাকের মতো ভেজে খেতে খুবই উপাদেয়। এছাড়া বিটের হালুয়া খেতে অনেকেই ভালবাসেন। আর যারা হালুয়া খেতে ভালবাসেন তাদের ক্ষেত্রে বিটের সবচেয়ে ভাল রেসিপি হল বীট হালুয়া।
উপকরণ বিট - ৪টি
দুধ - ৩ কাপ
চিনি - ১/২ কাপ
এলাচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
ঘি - ৩ টেবিল চামচ
কাজু - কয়েকটি
কিশমিস - কয়েকটি
আমন্ড - এক মুঠো
খোয়া - ১০০ গ্রাম
কনডেন্স মিল্ক - ৩ টেবিল চামচ
প্রথমে সমস্ত প্রণালীকে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে বিটের উপরের খোসাটি ছাড়িয়ে নিন। এবার গ্রেটারে মাঝারি সাইজের করে গ্রেড করে নিন। তারপর একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে একে একে কাজু বাদাম , আমন্ড ও কিশমিশ কয়েক সেকেন্ড হাল্কা আঁচে ভেজে তুলে রেখে দিন। এবার ঘিয়ের মধ্যে গ্রেড করা বিট দিয়ে দিন। হাল্কা আঁচে কয়েক মিনিট ভাজুন। তারপর দুধ ও খোয়া এর মধ্যে দিয়ে দিন। গ্যাসের আঁচ হাল্কাই রাখবেন। এতে চিনি, এলাচগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার হাল্কা আঁচে রান্না করতে থাকুন। খেয়াল রাখবেন মাঝে মাঝে নাড়াতে হবে নয়তো পাত্রের তলায় লেগে যেতে পারে বিটের মিশ্রণ। দুধ শুকিয়ে এলে এতে কনডেন্স মিল্ক দিয়ে দিন। হালুয়ার আকার নিলে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। আগে থেকে ভেজে রাখা ড্রাই ফ্রুট ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।