#Pravati Sangbad Digital Desk:
১৯৯২ সালে যখন পাকিস্তান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তখন যা যা ঘটেছিল, এবারে বিশ্বকাপে ফাইনালে আসার আগেও তাই ই ঘটেছিল পাকিস্তানের সঙ্গে। সেবারেও প্রথম ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান। এবারেও তাই। সেবারেও ভারতের কাছে গ্রুপ স্টেজে হেরেছিল পাকিস্তান। এবারেও তাই দেখা যায়! সেবারেও পর পর ম্যাচ হেরে হঠাৎ ই পর পর তিনটে ম্যাচ জিতে ম্যাজিকের মতো ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান, এবারেও যখন কেউই ভাবতে পারেনি যে পাকিস্তান কোনো ভাবে ফাইনালে যেতে পারে --- তবে হঠাৎ ই যেন ভোজবাজির মতো চমকে দিয়ে ফাইনালে স্থান করে নিয়েছিল পাকিস্তান। তাই ভাবা হচ্ছিল হতে পারে এবার হয়তো ইতিহাস আবার ফিরে আসতে পারে। অন্তত সেই আশাই করছিলেন আপামর পাকিস্তান বাসী। কিন্তু ১৯৯২ সালে ফর্ম্যাট ছিল ওয়ান ডে, আর আজ ২০২২ এর ফর্ম্যাট টি ২০, যেখানে সমস্ত কিছুই অনিশ্চিত, যেখানে যে কোনো দিকে , যে কোনো ভাবে, যে কোনো সময়ে ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে। আজ ফাইনালে প্রথমে টস জিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার, যিনি ভারতের বিপক্ষে সেমি ফাইনালে অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে মিলে ভারতকে একাই হারিয়ে দেন ১০ উইকেটে, সিদ্ধান্ত ফার্স্টে বোলিং করার। যদিও বাবর আজম (৩২) আর মাসুদ (৩৮) ছাড়া কেউই আশানুরূপ ফল করে উঠতে পারেনি। তাই পাকিস্তান কোনো রকমে ২০ ওভারে করে ১৩৭, বদলে ইংল্যান্ড ব্যাটিং করতে গিয়ে প্রথমেই বিপদে পড়ে অ্যালেক্স হেইলসের উইকেট হারিয়ে। তিনি শিকার হন আফ্রিদির। বাটলার (২৬) ও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তানের শক্ত পোক্ত বোলিং এর সামনে। তিনি কট বিহাইন্ড হন হারিস রউফের বলে। একসময় সত্যিই মনে হচ্ছিল পাকিস্তান অনেক এগিয়ে। কিন্তু সেই আশাতেই একপ্রকার জল ঢেলে দিলেন বেন স্টোকস! ২০১৯ র ফাইনালে যে মানুষটার দৌলতে ম্যাচ পকেটস্থ করেছিল ইংল্যান্ড, সেই মানুষটি ই হলেন আজকের নায়ক। পাকিস্তানের বোলিং এর সামনে যখন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা পরাস্ত হচ্ছিল বারংবার, সেখানে স্টোকস টিকে ছিলেন একদিকে। ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন নিজের মতো করে, সিংগলস ডবলসে , কিন্তু ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায় আফ্রিদির চোট! শাদাব খানের বল টিকে কভারসের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে হঠাৎ ই আফ্রিদির হাতে ধরা পরেন তিনি। সেই ক্যাচ ধরতে গিয়ে পুরানো আঘাতে ব্যথা পান তিনি। এতে তাঁকে বাইরে কাটাতে হয় বেশ খানিকক্ষণ ! ফিরে এসেও তিনি ছন্দে ফিরতে পারেননি। ফিরে এসে একটা বল করার পর ই ব্যথার জন্য আর বল করেননি তিনি। সেই ওভার করতে ইফতিখার আসলে স্টোকস টার্গেট করেন তাঁকে। আর পাকিস্তানের থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন। এক ওভার আগেই ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড! ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতলেও পাকিস্তানের অসামান্য অবদান কে ছোট করে দেখা যাবে না একেবারে ই । কম স্কোর করেও সেটাকে অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে ডিফেন্ড করেছে পাকিস্তান, আফ্রিদি চোট নিয়ে লড়েছেন। অন ফিল্ডে প্রত্যেকটা প্লেয়ার নিজের সমস্তটা দিয়ে লড়েছে, যা অত্যন্ত ভাবে অতুলনীয়। তাই ১৯৯২ সালের মতো বিশ্বকাপ না জিততে পারলেও খুব একটা দুঃখ ও যে পাবে না পাকিস্তান, তা স্বাভাবিক!
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image