#Pravati Sangbad Digital desk:
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ৬ হত্যাকারীকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার রাজীব গান্ধী হত্যা সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে, নলিনী শ্রীহরণ সহ ৫ জনকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। নলিনী ও রবিচন্দ্রন ছাড়াও মুক্তি পাওয়া বাকি সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সন্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিভি নাগারথনার বেঞ্চ, মে মাসে মুক্তি পাওয়া আরও এক আসামি এ জি পেরারিভালানের মামলা বিবেচনা করতে গিয়েই আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীদের খুনিদের মধ্যে অন্যতম নলিনী বর্তমানে প্যারোলে আছেন। মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করেছিল। গত ১৮ মে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। পেরারিভালানও রাজীব খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে ছিলেন। পেরারিভালানকে মুক্তির নির্দেশের পরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন নলিনী। ১৯৯১-এর ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীবের মৃত্যু হয়েছিল। পরে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র ধানু নামে এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনায় সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন যায়। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে দেরি হওয়ায় ২০১৪-য় সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে যায়। ২০১৮-য় তামিলনাড়ুর তত্কালীন এডিএমকে মন্ত্রিসভা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তনামা তামিলনাড়ুর তত্কালীন রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গেলে তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান। রাজ্যপাল এ বিষয়ে সিলমোহর না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পেরারিভালন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তাঁর মুক্তির পর নলিনী এবং রবিচন্দ্রন মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। গত জুন মাসে মাদ্রাজ হাই কোর্ট এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে 'পরামর্শ' দেয় নলিনীদের।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image