#Pravati Sangbad Digital Desk :
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল বয়সের মানুষের এক বড় সমস্যা পেটের মেদ। অফিসে কাজের জন্য হোক কিংবা সন্তান জন্মদান-যেকোনো কারণেই হতে পারে এই মেদের সমস্যা। ডায়েট করে কিংবা ব্যায়াম করেও যেন কমানো যায় না এই পেটের মেদ। তাই রোজকার রুটিনে কিছু কাজ বা অভ্যাস যোগ করলে সহজেই দূরে থাকতে পারেন এই সমস্যা থেকে। শরীরের ওজন ঠিক রাখা সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও অত্যন্ত সহজ কিছু ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাস করলে তলপেটের মেদ কমে অনেকটাই। মেদ ঝরানোর জন্য চিত হয়ে শোওয়ার পর এবার এক এক করে দুই পা তুলুন। প্রতি পা তুলে কিছুক্ষণ রাখুন। সেই পা নামিয়ে আবার অপর পা তুলুন। এটিও বার দশেক করুন। প্রতি সেট ১০ বার। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখবেন। চিত হয়ে শুয়ে সাইক্লিং করার মতো করে পা ঘোরান। এতে তলপেটের সঙ্গে ভারী কোমরের সমস্যাও মিটবে। এ ক্ষেত্রেও ১০ বারে একটি সেট। দুই থেকে তিনটি সেট করার চেষ্টা করুন।চিত হয়ে শুয়ে পা দু’টিকে এক সঙ্গে তেরচা করে ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে রাখুন। কিছুক্ষণ এভাবে থাকুন তারপর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন পা।
১) আমন্ড - আমন্ডে আছে পলিস্যাচুরেটেড ও মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এগুলি অত্যাধিক খিদে নষ্ট করে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খিদে মেটায়। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও কাজ করে।
২) তরমুজ - গ্রীষ্মের ফল। তরমুজের প্রায় ৯১ শতাংশই জল। যা অনেক সময় পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। এছাড়াও তরমুজে রয়েছে ভিটামিন B1, B6 এবং ভিটামিন C। তাই শরীরে মেদ জমারও ভয় থাকে না।
৩) আপেল - আপেলের মধ্যে প্রোটিন অ্যাসিড যা ওজন কমায়। ফাইবার, ফ্ল্যাভোনয়েডস্ ও বেটা ক্যারোটিন যুক্ত আপেল অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে।
৪) আনারস - ব্রোমেলাইন এনজ়াইমযুক্ত আনারস পেটের মেদ কমায়।
৫) শসা - শশাতে লো ক্যালরি। শসা খেলে আপনার ওজন যেমন কমবে, তেমনই বাড়বে হজম শক্তি। সেই সঙ্গে ত্বক হবে উজ্জ্বল।
৬) টোম্যাটো - টোম্যটোর পেটের মেদ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এই উপাদানটি ডায়াবিটিজ় প্রতিরোধ করে।
৭) বিনস্ - শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে বিনস। বিনস্ হজম শক্তি ও পেশির শক্তি বাড়ায়। অনেকক্ষণ পেট ভর্তিও রাখে। অতিরিক্ত খিদের ইচ্ছেও দূর করে।
৮) সেলেরি - লো ক্যালোরি সেলেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন C। খাবার খাওয়ার আগে রোজ একগ্লাস সেলেরির রস খান। চাইলে স্যালাড বা সুপ বানিয়েও খেতে পারেন। এতে ওজন কমবে।
৯) গ্রিন টি - এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ এমন কিছু পুষ্টির উপাদান, যা চর্বি কমাতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পানে কমতে শুরু করবে ওজন।
১০) মাছের তেল - মাছের তেলে আছে ওমেগা থ্রি, যা ওজন কমাতে সহায়তা করবে। মাছের তেল হাড় গঠনে সহায়তা করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং প্রয়োজনীয় কোলস্টেরল বৃদ্ধি করে। মাছের তেল কোমর ও পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image