#Pravati Sangbad Degital Desk:
নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। এদিকে দিনের পর দিন আশঙ্কা ও লড়াইয়ের জেদ বেড়েই চলেছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও কি চাকরি জুটবে? এর উত্তর সবারই অজানা। আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের মারও খেলেন এক চাকরিপ্রার্থী। ৯ ই নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত লালবাজার থানা উত্তপ্ত ছিল। আন্দোলনকারীর প্রত্যেকেই শিক্ষক হতে চেয়েছেন। অভিযোগ ওঠে, যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির দাবি জানাতে গিয়ে শেষে পুলিশের মার খেতে হল চাকরিপ্রার্থীকে। নিয়োগের দাবিতে বুধবার দুপুরে উত্তাল এক্সাইড মোড়। রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে লালবাজার চত্বর। বিক্ষোভ চলে শিয়ালদহ স্টেশনেও। নিয়োগর দাবিতে বাসের চাকার নীচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সরতে না চাওয়ায় টেনে হিঁচড়ে জোরজবরদস্তি করে সরানো হয় তাঁদের। বেশ কয়েকজন আহতও হন। অভিযোগ, ক্যামাক স্ট্রিটে আন্দোলন চলাকালীন এক মহিলা আন্দোলনকারীরা হাতে কামড় দেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মহিলা পুলিশকর্মী নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উপরন্ত পুলিশকর্মীর অভিযোগ ওই মহিলা আন্দোলনকারীই তাঁকে কামড়ে দিয়েছেন। আক্রান্তের নাম অরুণিমা পাল। এই ঘটনায় আক্রান্তকারি-সহ প্রায় তিরিশজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। বিশেষ সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় আক্রান্তকারি অরুণিমাকে আটক করে রাখা হয়েছিল। সেই সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন বাকি আন্দোলনকারীরা। কিন্তু অরুণিমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, একজন অফিসার বলেন , "ওঁ যদি মারা যায় সেই দায় আমরা নেব” পরে অবশ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্ত অরুণিমার।
৩০ জনকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়াতে আবার বিক্ষোভ দেখা দেয়। অরুণিমা পাল ও বাকি সদস্যদের মুক্তির দাবিতে লালবাজারের বাইরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। অবশেষে গ্রেফতার হয় অরুণিমা-সহ প্রায় তিরিশ জন বিক্ষোভকারী। বিশেষ সূত্রের খবর, জামিন অযোগ্য ধারায় অরুণিমা পাল সহ ৩০ জনের মামলা দায়ের হয়েছে। বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দেওয়া হলেও নির্দিষ্ট জায়গায় নামানো হয়নি বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে অরুণিমার গ্রেফতারির খবর পেয়ে চরম উদ্বিগ্ন তাঁর পরিবার। অরুণিমার শারীরিক অবস্থা নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত তাঁর স্বামী ও সন্তান - সহ পরিবারের অন্যান্যরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। মায়ের জন্য সুবিচারের দাবি চেয়েছে অরুণিমার মেয়ে। চাকরিপ্রার্থীদের মুক্তির দাবি রেখে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ করে চাকরিপ্রার্থীদের এক বড়ো অংশ। টেনে হিঁচড়ে ধস্তাধস্তি করে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। মাথা ফেটেছে এক বিক্ষোভকারীর। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। বৃষস্পতিবার সকালে বেশ থমথমে এলাকা।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image