#Pravati Sangbad Digital Desk:
রাস্তা ধরে এগিয়ে আসছে জনমানুষের স্রোত,সাথে উচ্চস্বরে জয়ধ্বনি। ভোট প্রার্থী হাত নেড়ে এলাকাবাসীকে আসস্থ করছেন যে তিনি সর্বদায় তাদের পাশে আছেন। দেখা গেল আশ-পাশের বাড়ি থেকে মানুষ বেরিয়ে এসে প্রার্থীকে অনেক শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ জানাচ্ছেন। প্রার্থী বলে উঠছলেন, “আপনাদের আশীর্বাদ এবং শুভেচ্ছা আমার কাছে খুব বড় পাওনা।আমি সর্বদাই আছি আপনাদের কল্যাণের জন্য, আপনাদের উন্নয়নের জন্য। ১৯ তারিখ যেন আপনাদেরই জয় হয়, আপনাদের বিশ্বাস ভরসার জয় হয়।” লক্ষ্য যখন উন্নয়ন, অনন্যা-ই প্রয়োজন’, এই স্লোগানেই কলকাতা পুরসভার ১০৯ নং ওয়ার্ডে ভোট প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এরকমই একটি চিত্র ধরা পড়লো প্রভাতী সংবাদের ক্যামেরাতে, কলকাতা পৌরসভা, পাঞ্চসায়ার এলাকার ১০৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস অনন্যা ব্যানার্জী ভোটের প্রচারের মিছিলে –
ভোটের প্রচারের মিছিলে জনগণের স্রোতে পা মেলাতে মেলাতেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অনন্যা ব্যানার্জী জানালেন পৌর-ভোটের জন্য আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি তিনি নেন নি কোনোদিনও। সারাবছর মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য লড়াই করেন, তাদের কথা ভেবে উন্নয়নমূলক কাজ করে চলছেন। এলাকাবাসী তাদের প্রাণের মানুষ, কাছের মানুষ, যাকে মনে করবেন তাকেই এই নির্বাচনে জিতিয়ে আনবেন।
তিনি এই কথাও জানান যে ১০৯ নং ওয়ার্ডটি মহিলার শক্তির একটি প্রতীক, এই ওয়ার্ডে মহিলা কর্মী বেশি। তিনি বলেন, “আমার এই ১০৯ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে ঘরে মহিলারা আজ আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা তৈরি করা বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হয়ে নিজেদের পায়ের তলায় মাটি শক্ত করতে পেরেছেন। আমরা সকলেই জানি, আগেকার দিনে কেউ ভাবতেই পারতো না যে ঘরের মেয়ে-বউয়েরা বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করবে, বা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবে। এখন সেটা হচ্ছে। এটাকেই বলে আসল উন্নয়ন।এছাড়াও কিছু দুঃস্থ এলাকায় মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিলাদের সুরক্ষা সর্বপ্রথম আসে, এই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।”
তিনি এটাও জানান যে এই ওয়ার্ডে জলের কিছু সমস্যা ছিলো। পানীয় জল নিয়ে মানুষের অনেক সমস্যা হতো। ঠিক মতো পানীয় জল পেতেন না এলাকার মানুষজন। আগের নির্বাচনে জিতে আসার পর তিনি অনেকটাই সেই সমস্যার সমাধান করেছেন। প্রতিনিয়ত দিনে দু’বার করে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাও তিনি চান মানুষের যেন কোনো জলের কষ্ট না হয়, সেই জন্য আগামী পরিকল্পনা হিসেবে তিনি চান মানুষের জন্য তিন বেলা দিনে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে। এছাড়াও এখানে জল-নিকাশির সমস্যা ছিল, বৃষ্টি হলেই সেই জল জমে গিয়ে এলাকার মানুষজনদের অসুবিধা হতো, তার জন্য পাম্পিং-স্টেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লোক-সংকৃতি গ্রামে পাঁচটি জায়গায় এই পাম্পিং-স্টেশন করা হচ্ছে যাতে যেই সব এলাকাতে বৃষ্টির জল জমে যায়, সেই সব জায়গার জমা জল টেনে বের করে আনবে এই পাম্পিং-স্টেশন।
তিনি বলেন, “আমরা সারাবছর পড়াশোনা করি, এখন শুধু পরীক্ষার আগে রিভিশন করা হচ্ছে মাত্র। মানুষ উন্নয়ন চায়, তাই তারা উন্নয়নকেই ভোট দেবেন, নির্বাচনে উন্নয়নেরই জয় হবে। মানুষ নিজেদের উন্নয়নের বিচার নিজেরাই দেবেন।”
তিনি জানান যে এলাকাবাসী স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষীর ভান্ডার, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা,দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের মতো আরো অনেক প্রকল্পের দ্বারা মানুষ অনেক অনেক উপকৃতি হয়েছেন, এবং তারা সকলেই খুবই খুশি এই অভিনব উন্নয়নের জন্য। তার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
বিরোধীদলের উদ্দেশ্যে অন্যান্য ব্যানার্জী বলেন, “ওরা বেকার বেকার ঝামেলা ঝগড়া সৃষ্টি করে। সব মানুষ একসাথে মিলে মিশে থাকলে, একসাথে মিলেমিশে কাজ করলে উন্নয়ন আরো বাড়বে। তাই নিজেদের স্বার্থে নয়, জনগণের স্বার্থে জনগণের জন্য, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর থেকে বড় কাজ আর কিছুই নেই।”