#Pravati Sangbad Digital Desk:
চলতি বছর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষা, কিন্তু স্কুল ছুটের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে অনেকটাই, এমনটাই দাবি করছেন শিক্ষকদের একাংশ। গত দুই শিক্ষাবর্ষে অর্থাৎ ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনা মহামারীর কারণে একটা বড় প্রভাব পড়েছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক তো দূরে থাকা টেস্ট পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাওয়া যায়নি করোনার কারণে। বর্তমানে পড়ুয়ারা তারই খেসারৎ দিচ্ছে বলেই অভিমত শিক্ষকদের একাংশের। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট, কিন্তু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই কম, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যের শিক্ষকদের। অনেক অভিভাবক আবার সরকারি প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন, “পড়াশোনা করে কি হবে? চাকরি মিলবে?” মূলত করোনার ফলে দরিদ্র মানুষের আর্থিক পরিকাঠামো অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। তাই আর্থিক কারণকে দায়ী করছেন সকলেই, সেক্ষেত্রে বেশির ভাগ পড়ুয়া ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে চলে গিয়েছে অন্যদিকে বেশ কিছু ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে করোনার সময়। অনেক শিক্ষাকর্মী আবার উৎসশ্রীকে দায়ী করেছেন এই পরিস্থিতির জন্য। তাঁদের মতে, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে গ্রামীণ স্কুল থেকে বেশীরভাগ শিক্ষাকর্মী বদলি নিয়ে শহরের স্কুলে চলে আসছেন। সেই কারণে গ্রামের স্কুল গুলিতে একটা শুন্যতা তৈরি হচ্ছে, যার ফলে পড়ুয়ারা স্কুলমুখী হচ্ছেন না। অনেক শিক্ষক শিক্ষিকার মতে, “যারা আগের বার মাধ্যমিক দিয়েছিল বাড়িতে বসে, তাঁদের মধ্যে আদৌ কোন জ্ঞান আছে কিনা জানা দরকার। সেই কারণেই এই পরীক্ষা, কিন্তু দেখা যাচ্ছে বেশীরভাগ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত অর্থাৎ তাঁরা আবার পরের বছরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে”।