Flash News
Tuesday, September 23, 2025

গুজরাটের 'মাচ্ছু' নদীতে ভেঙে পড়লো ১৪২ বছরের পুরানো ঝুলন্ত সেতু, মৃত ১৪১

banner

journalist Name : Uddyaloke Bairagi

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রবিবারের সন্ধ্যায়, সপ্তাহ শেষে সপরিবারে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন বহু মানুষ। ঘড়ির কাঁটায় যখন ৬টা বেজে ৩০মিনিট তাদের জীবনে নেমে এলো ঘন অন্ধকার। প্রায় ৪০০ জনকে সঙ্গে নিয়ে মাঝনদীতেই ভেঙে পড়লো গুজরাটের শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত ব্রিজ। এখনো পর্যন্ত খবর, গতকালের এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৪১ জন মানুষ। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে খবর। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, গুজরাটের মোরবি-র এই ঝুলন্ত সেতুটি তৈরি হয়েছিল ১৮৭৯ সালে। সম্প্রতি সেতুতে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা মেরামতির জন্য বন্ধ ছিল দীর্ঘ সাত মাস। সেতু মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হতে দিন চারেক আগে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তা খুলে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেরামতির পর পুরসভার 'ফিটনেস সার্টিফিকেট' প্রদানের আগেই জনসাধারণের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হয় সেতু। যার কারণে এই ভয়াবহ বিপর্যয়।
জানা গিয়েছে, সেতুটি ভেঙে পড়ার সময় সময় তখন তার উপরে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৪০০ জন মানুষ। তার মধ্যে ১৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর ভাবে আহত শতাধিক মানুষ। নদীর জলে তলিয়ে গিয়েছেন অনেকেই। গতকালের এই ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হয় গুজরাট পুলিশের বিশাল বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। পাশাপাশি সেখানে নিয়োগ করা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধার কাজ। রীতিমতো গ্যাস কাটার দিয়ে সেতুটিকে কেটে উদ্ধার করা হয় এক একটি ছিন্নভিন্ন দেহ। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সারারাত ধরে চলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধার কাজ। রাত গড়িয়ে সকাল হলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
গতকালের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল। শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট বার্তায় মোদি লিখেছেন, "গুজরাতের মোরবিতে নদীতে ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমি শোকাহত। এ ব্যাপারে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ধারকার্য পূর্ণদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্য করা হবে।''
যদিও গতকালের এই ঘটনা প্রভাব ফেলেছে রাজনৈতিক মহলেও। পুরসভার ফিটনেস সার্টিফিকেট না নিয়ে কিভাবে ব্রিজ চালু করা হলো সে নিয়েই সরব হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের কথা চিন্তা করেই তড়িঘড়ি খুলে দেওয়া হয় এই ব্রিজ। যার জেরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যেখানে প্রাণ গেল শত শত মানুষের। স্বজন হারালো কয়েকশো পরিবার।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News