#Pravati Sangbad Digital Desk:
প্রায় দোরগোড়ায় চলে এসেছে শীত। শীতের সঙ্গে চুল আর ত্বকের একধরনের শত্রুতা আছে বলেই মনে হয়। শীত মৌসুমে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, বেড়ে যায় ধুলাবালির প্রকোপ। সে কারণে চুল রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।আবার শীতে অনেকের খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তবে একটু চেষ্টা করলে চুলের এই সকল সমস্যা কটিয়ে জেল্লা ফিরে পেতে এক সপ্তাহই যথেষ্ট। চুলের যত্ন নিতে মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়। এই সব উপায়ে সামান্য ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে এবং অল্প খরচেই আপনি সুন্দর ঝলমলে চুল পেতে পারেন। তৈলাক্ত চুলের জন্য যে উপায়ে আস্থা রাখা যায়, শুষ্ক চুলের বেলায় কিন্তু বদলে যায় সমাধান। জেনে নিন শীতকালে চুলের নানান সমস্যার সমাধান:
• যতই ঠান্ডা পড়ুক, চুলে শ্যাম্পু করা বন্ধ করলে চলবে না। বা গরম জলে মাথা ভিজিয়ে স্নান করতে ভালো লাগছে বলে অনেকটা সময় গরম জলের শাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। দুটোই কিন্তু চুলের পক্ষে সমান ক্ষতিকর। বেশি শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল হারিয়ে গিয়ে চুলকে রুক্ষ করে তুলবে। আবার বেশিদিন শ্যাম্পু করে না থাকলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমে চিটচিটে দেখতে লাগবে এবং ড্যানড্রাফ হবে।
•শীতকালে মাথার শুষ্ক ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। খুশকি বেড়ে যায়, বাড়ে বিড়ম্বনাও। এ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দেড় টেবিল চামচ মেথি ও দেড় টেবিল চামচ শুকনা আমলকী এক কাপ পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর বেটে ফেলুন। এরপর এর সঙ্গে মেশান দুই-তিন চা-চামচ মধু। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি যেমন দূর হবে তেমনি চুলে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করবে।
•চুলকে মোলায়েম ও ঝলমলে করতে বাড়িতে সহজেই বানিয়ে ফেলুন হেয়ার প্যাক। দু’চামচ টক দই ও তিন চামচ মধু মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে নিন। স্নানের আগে এই মিশ্রণ মেখে নিন চুলে। তার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন চুল। শুষ্ক চুলের সমস্যা থাকলে এখনই ব্যবহার করুন এই হেয়ার প্যাক।
•শীতে মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে চুল পড়ার মাত্রা বেড়ে যায়।তাই শীতকালীন সময়ে ঘন ঘন চুল আঁচরানোর অভ্যাস পরিহার করুণ। আর উচ্চ তাপে ব্লো ড্রাই করাও উচিত নয় এতে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাদাম তেল কুসুম গরম করে তা চুলের গোড়ায় হালকা হাতে মালিশ করতে হবে। একটি গরম তোয়ালে দিয়ে পুরো চুল পেঁচিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
•অ্যালোভেরা পাতা চিরে তার শাঁসটা বার করে নিন। বাজারেও অনেক রকম অ্যালোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায় তাতে অনেক রকম রাসায়নিক মিশ্রিত থাকে। তাই সরাসরি গাছ থেকে অ্যালোভেরার পাতা নিয়ে সেটা ব্যবহার করা ভাল। চুল ও মাথার ত্বকে পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করতে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকর। তবে অনেকের এই শাঁস ত্বকে সহ্য হয় নাতাঁরা ফুটিয়ে নিয়ে তবেই ব্যবহার করুন। চুলের আগা থেকে গোড়া এই শাঁস লাগান ও মাথার ত্বকে আঙুলের সাহায্যে মাসাজ করুন। শ্যাম্পুর পর এটি ব্যবহার করুন।