#Pravati Sangbad Digital Desk:
গত সপ্তাহে গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের পরে আজ ফের অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা রওনা দেয় আসানসোলের সিবিআই আদাওলতে। কেশ্ত-কে দেখেই রাস্তাই দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। সূত্রের খবর, আজ আদালতে বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। প্রসঙ্গত, বোলপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট মিলেছে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে। মিলছে একাধিক চালকলের হদিশ। গতকাল বোলপুরের ‘ভোলে বোম রাইস মিল’-এ তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। প্রথমে মিলে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হলেও পরে মিলে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। মিলে ঢুকে রীতিমতো চক্ষু চড়ক গাছ সিবিআই কর্তাদের। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে নামিদামি কোম্পানির এসউভি গাড়ি। তার মধ্যে প্রায় সবগুলিই বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে নেওয়া। এদিন আদালতে বিচারপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করেন, “আপনাকে একাধিকবার সিবিআই তলব করা সত্ত্বেও আপনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন কি জন্য?”, উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল জানান, “অসুস্থ ছিলাম আমি। কিন্তু সব রকম সহযোগিতা করেছি। তাঁদের বারবার জানিয়েছিলাম বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। কিন্তু ওনারা আসেননি”। সিবিআই-এর আইনজীবীর পাল্টা দাবি, কোন ভাবেই সহযোগিতা করছেন না তিনি। কোন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না সিবিআই আধিকারিকদের। বর্তমানে সিবিআই-এর র্যাডারে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামও রয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই পৌঁছে ছিল বাড়িতে। কিন্তু সিবিআই আধিকারিকদের সাথে দেখা করেননি সুকন্যা মণ্ডল।