শীত পড়তে না পড়তেই গায়ে গরম জল ঢালছেন? নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন হার্টের সমস্যা! জানুন কিভাবে

শীত পড়তে না পড়তেই ঘরে ঘরে ফুটছে গরম জলের হাঁড়ি। ঠান্ডা জলের কাঁপুনি থেকে বাঁচতে গায়ে ঢালছেন গরম জল। আর এখানেই লুকিয়ে আছে হার্টের সমস্যার যাবতীয় কারণ। 

হার্টঅট্যাক বা হার্টের সমস্যায় যে শুধুমাত্র বয়স্করা ভোগেন এধারণা আজ সম্পূর্ণ ভুল। কারণ বর্তমানে ছোট থেকে বড়ো সকলের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, লেট্ নাইট ঘুম, স্ট্রেস টেনশন, অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, না বুঝেই ঠান্ডা গরম জলে স্নান করা, এক্সারসাইজের অভাব ইত্যাদি প্রভাব ফেলে তাঁদের হার্টে। উপরন্তু শীত কিংবা গরমের দিনে শরীরের আরামের কথা ভেবে অনেকেই খুব ঠান্ডা কিংবা গরম জলে স্নান করে ফেলেন। যা আপনার অজান্তেই বাড়ায় হার্টের সমস্যা। তাই এর জন্য চিকিৎসা যেমন দরকার তেমনই দরকার সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলা। তাই হার্টের সুস্থতায় মাথায় রাখুন স্নান করার কিছু নিয়ম। 

ঠান্ডা জলে স্নান-

সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে ঠান্ডা জলের স্নান কার্যকরী। এছাড়াও ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়ে, ত্বকের প্রদাহ কমায়। দেহের বাড়তি ওজন কমায়। 

তবে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য খুব ঠান্ডা জলে স্নান করা খানিক ঝুকি সাপেক্ষ। 

গরম জলে স্নান-

একটানা বহুদিন গরম জলে স্নান করলে ছেলেদের ফার্টিলিটি কমে যায়। ত্বকের আদ্রর্তা কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ শুস্ক হয়ে যায়। মাথা ঘোরা, শরীর দুর্বলের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও শরীরে রক্তচাপ হেরফের করে তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য গরম জলে স্নান ঝুকি সাপেক্ষ। 

তবে হালকা গরম জলে স্নানও শরীরের কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপকারী। এতে পেশির আরাম হয়। ফুসফুসের উপকার হয়। 

এবার জানুন হার্টের জন্য কোন ধরণের জলে স্নান উপকারী- 

স্নান করার ক্ষত্রে হার্টের রোগীদের জন্য খুব বেশি ঠান্ডা বা গরম কোনো জলই উপকারী নয়। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম জলের প্রদাহে শরীরে রক্তচাপ ওঠা নামা করে তাই নরমাল বডি টেম্পারেচার এর তাপমাত্রার জলে স্নান করাই শ্রেয়। 

এছাড়াও স্নানের সময় সরাসরি মাথায় জল না ঢেলে নীচ থেকে ওপরের দিকে জল ঢালুন অর্থাৎ পা থেকে কোমর তারপর কাঁধ ও মাথায় জল দিয়ে স্নান করুন।