#Pravati Sangbad Digtal Desk:
(চতুর্থ পর্ব)
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর ক্যালিফর্নিয়াতে বাকি দিনের মতো এইদিনও সবাই নিজের কাজে ব্যাস্ত। অন্যান্য দিনের মতো ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারেও সকালের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সকাল ৮.৪৬ মিনিটে হঠাৎ, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১১ সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে সেন্টারের উত্তর টাওয়ারের উত্তর দিকে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৯.০৩ মিনিট নাগাদ ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৭৫ সাউথ টাওয়ারের দক্ষিণ সম্মুখভাগে আঘাত হানে। মুহুর্তে কেঁপে ওঠে গোটা আমেরিকা। এর ঠিক ৩০ মিনিটের মধ্যে সকাল ৯.৩৭ মিনিটে আমেরিকা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৭ পেন্টাগনের পশ্চিম প্রাচীরে আঘাত করে। এর ৩০ মিনিটের মধ্যে ১০.৩ নাগাদ আরও একটি বিমান আমেরিকায় আঘাত হানে। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন এই প্রতিবেদন সেই ভয়াল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণকে নিয়ে, যা আমেরিকাবাসীর মনে আজও ক্ষত করে রেখে দিয়েছে।
রাশিয়ার সৈন্য আফগানিস্থান থেকে প্রস্থানের পরে দেশটির দখল নেয় আমেরিকা পুষ্ট আল-কায়েদা বাহিনী যেখানে আমেরিকার সেনাদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যুদ্ধ-প্রিয় আরব মুজাহিদিন বাহিনী সেনা উপস্থিতি মানতে পারেনি। তাই লাদেন দলের দায়িত্ব নিয়েই আমেরিকার সেনাদের আফগানিস্থান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ফতেয়া জারি করে। ১৯৯৮ সালে একটি ফতেয়ার দ্বারা লাদেন জিহাদকে সামনে রেখে মুসলিমদের এক হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, মুসলিম শত্রু দেশ গুলিকে ধ্বংস করার পরামর্শ দেন। এই ফতেয়া অনুযায়ী বিন লাদেনের সহযোগিতাতে আমেরিকার ৪টি যাত্রী বিমান হাইজ্যাক করে দুষ্কৃতী দল। এরপরে সেই বিমানের দ্বারাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সহ আমেরিকার বিভিন্ন জায়গাতে আঘাত হানে সেই সন্ত্রাসী দল। প্রাথমিকভাবে লাদেন এই আক্রমণের দায় স্বীকার না করলেও পরবর্তিতে সেই দায় স্বীকার করেন এবং এবং আমেরিকা সরকারকে এই আক্রমনের কারন উল্লেখ করে একটি চিঠি পাঠান , যেখানে কাশ্মীরে ভারতীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন, ইসরায়েলকে মার্কিন সমর্থন সহ বেশ কয়েকটি কারন উল্লেখ করেন।
তবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলা বিশ্ব ইতিহাসে একটি অন্যতম ন্যাক্কারজনক হামলার আখ্যা পেয়েছে। প্রায় ৩,০০০ মানুষ এই হামলাতে প্রান হারায় এবং ২৫,০০০ মানুষ আহত হন যার মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ছিলেন। জর্জ বুশের শাসনকালে এই হামলাতে আমেরিকার টুইন টাওয়ার সম্পুর্নভাবে ভূপতিত হয়। এই আকস্মিক পতনের ফলে ২৫০০ এর বেশি দূষিত পদার্থ সারা শহরজুড়ে ছড়িয়ে পরে।এবং রাস্তায় থাকা মানুষেরা এর প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছিলো এবং ওয়াশিংটন সরকার হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের আর্থিক সাহায্য করেছিলেন।