#Pravati Sangbad Digital Desk:
এবার বাঁকুড়ার এক নাবালিকা মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের শিকার হল৷ কুসংস্কারের এখনও কতখানি ছড়িয়ে আছে সেটাই স্পষ্ট হল এই ঘটনায়৷ বাঁকুড়ার মেজিয়ার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাউরি পাড়ার ঘটনা। মেয়েটি স্থানীয় তেলেণ্ডি-পুরুনিয়া হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে 'ভূতে ধরেছে' দাবি করে তার ওপর চলল ওঝা-গুণীনের অত্যাচার। শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে তার ধোঁয়াও দেওয়া হয় নাবালিকাকে। এমনকি খবর পেয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হল বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যকে।
এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই ওঝা, এমনকি ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। তবে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মেজিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের সভাপতি স্বরূপ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশের ভয় দেখিয়েও কাজ হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।' পুলিশের সাহায্য ছাড়া ওই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পারতেন না তিনি। এই পরিস্থিতির খুব শীঘ্রই পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাউরি পাড়ার এক স্কুল ছাত্রী অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। ওই অস্বাভাবিক আচরণের পরেই পরিবারের লোকেরা 'মেয়েকে ভূতে ধরেছে' বলে বেলিয়াতোড় থানার গদারডিহি গ্রামের এক মহিলা ওঝার কাছে যান। বুধবার সকালে ওই ওঝা তার এক সহযোগীকে নিয়ে অসুস্থ ছাত্রীর বাড়ি থেকে দূরে পূজাপাঠ শুরু করেন। একই সঙ্গে 'ভূত তাড়ানো'র নামে শুরু হয় ছাত্রীর উপর নানারকমের অত্যাচার৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মেজিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের সভাপতি স্বরূপ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়৷ তিনি ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকেও অহেতুক নানান খারাপ কথা বলা হয় বলে অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে মেজিয়া থানার পুলিশ গ্রামে গিয়ে বিজ্ঞান মঞ্চের ওই সদস্যকে উদ্ধার করেন।