#Pravati Sangbad Digital Desk:
চেন্নাইয়ে ৪২ তম জাতীয় মাস্টার্স অ্যাথেলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে নিয়েছেন বাংলার মেয়ে বুলটি রায়। তবে তাঁর ক্রীড়াবিদ হওয়ার গল্প শুনলে আপনারও চোখে জল এসে যাবে।
তারকেশ্বরের মেয়ে বুলটি ছোটবেলায় খালি পায়ে অসমান ধান ক্ষেতে দৌড়াতেন। সেখান থেকে এসে মুড়ি অথবা পান্তা ভাত খেতেন। পুষ্টিকর খাবার দূরের কথা , কিছু সময়ে শাক ভাত খেয়ে দিন কাটিয়েছেন বাংলার সোনার মেয়ে। জঙ্গিপাড়াতে বাবা মায়ের সাথে চরম অভাবের সাথে লড়ে গেছেন তিনি। পেশায় খেতমজুর বুলটির বাবা মেয়েকে সব সময় সাহস জুগিয়েছেন। নিজের গরু বিক্রি করে সেই টাকায় মেয়ের খেলার পোশাক এবং জুতোর ব্যাবস্থা করে দেন। স্কুলে পড়াকালীন প্রথম শ্রেণী থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বরাবর দৌড়ে প্রথম হতেন বুলটি। মাধ্যমিক পাশের পরে তিনি বিয়ে করেন। স্বামী ট্রেনে হকারি করেন, তাই সেখানেও অভাবের মুখোমুখি হন বুলটি। ইতিমধ্যে দুটি সন্তান হয়, এভাবেই নয় বছর কেটে যায় । কিন্তু চরম দুঃখ কষ্টের মধ্যেও তিনি প্র্যাকটিস চালিয়ে গেছেন। সন্তানের বয়েস যখন আড়াই বছর তখন তিনি পৌরসভা এলাকায় একটি কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রথম হন। এরপরেই তিনি বেঙ্গল মিটে যোগ দেন। সেখানেও ৩টি সোনার পদক জেতেন। মাঝে খাবারের অভাবে অসুস্থ হয়ে পরলেও ফের ফিরে এসে যোগ দেন বেঙ্গল মিটে। সেই মিট থেকেই চেন্নাইয়ের চ্যাম্পিয়নশিপের সুযোগ আসে। সেখানে তিনি জেতেন ৩টি সোনার পদক। তবে বুলটি স্বপ্ন দেখেন মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার। কিন্তু এখানেও বাদ সেধেছে সেই অর্থাভাব, এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২ লক্ষ টাকা। বাংলা রিয়েলিটি শো দিদি নম্বর ১ এ অংশগ্রহণ করায়, সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জী ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করবেন বলেছেন। তবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার স্বপ্ন বুলটির পূরণ হয় কিনা সেটাই দেখার।