#Pravati Sangbad Digital Desk:
এবার অভিনব উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের তরফে। লালবাজার থানার নির্দেশে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে শহরের স্কুলে স্কুলে প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডে স্টিকার লাগিয়ে এবং বোর্ড লাগিয়ে। এমন নির্দেশের কারণ কী?
শহরের বিভিন্ন স্কুল পাড়ায় সকালে স্কুল শুরু এবং দুপুর কিংবা বিকালে স্কুল ছুটির সময় ট্রাফিক পরিস্থিতি হয়ে উঠছে অত্যন্ত বেহাল। যান জঞ্জাট সৃষ্টি হচ্ছে রাস্তা জুড়ে তাই কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও কর্মীরা ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পারসোনাল গাড়ি না থাকায় যেসব অভিভাবকরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে করে স্কুলে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বিপুল সংখ্যক গাড়ির ধোঁয়া নির্গত হয়ে কলকাতার সকালের বাতাস বিষিয়ে তুলছে।
পুলকারে পরিবহন করা সম্ভব ১৪ জন পর্যন্ত পড়ুয়া। ১৪ থেকে ১ কমলে অনায়াসে ১৩ টি গাড়ি স্কুলের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে । এই হিসাব অনুযায়ী কলকাতার সমস্ত স্কুলের সামনে থেকে রাস্তায় গড়ে ৩৫ শতাংশ গাড়ি কমিয়ে নেওয়া সম্ভব। বিশ্বের আধুনিক শহরের মতো কলকাতায় ডেডিকেটেড পার্কিং নেয়। এখন স্কুল ড্রপ গাড়ির সংখ্যা যত কমবে তত রাস্তায় যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গাড়ির সংখ্যা কমলে দূষণের মাত্রা কমবে। যেমন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ও ভিক্টোরিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল পার্কিং। ফলে সেখানে কার্বন এমিশন কমে যায়। পুলিশের এই সিদ্ধান্ত কে ইতিবাচক চোখেই দেখছেন অভিভাবকেরা।