#Pravati Sangbad Digital Desk:
সিরাজুল হক মণ্ডলের কথা মনে পরে? ১৯৯৩ সালে মহাকরণ অভিযানে তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যিনি ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দীনেশ বাজপেয়ীর গুলির হাত থেকে রক্ষা করে নিজের চাকরি খুইয়ে ছিলেন। আজ তারই তিন দশক পূর্ণ হল। ১৯৯৩ সাল, রাজ্যে লাল দুর্গ, বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বাংলা কংগ্রেসের অন্যতম মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বছরই ২১শে জুলাই স্বচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী, সাথে ছিলেন একধিক কংগ্রেস নেতা। বেলা যত বাড়ছিলো ততই ভিড় জমছিল রাজপথে। কনস্টেবল সিরাজুলের অধীনে ছিল ব্র্যাবোর্ন ষ্ট্রীটের দায়িত্ব, কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসেন, ঠিক সেই সময় ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দীনেশ বাজপেয়ী নির্দেশ দেন লাঠি চার্জের, শুধু তাই নয় নিজের সার্ভিস পিস্তল তাক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে, তখন সিরাজুল এগিয়ে এসেছিলেন তার সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে, অগত্যা পিছু হাঁটতে হয় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে।
ঘটনার সূত্রপাত সেখানেই, ঠিক তার পরেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় সিরাজুলকে, তবে চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিরাজুল, কিন্তু আর্থিক কারণে মামলা বন্ধ করতে বাধ্য হন সিরাজুল। রাজ্যে এক দশক পূর্ণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কিন্তু তাতেও আর চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি সিরাজুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে সিরাজুল ভেবেছিলেন এবার হয়তো দুঃখের দিন শেষ, কিন্তু কোথায় কি। একদিন যার জীবন বাঁচিয়েছিলেন নিজের চাকরি হারিয়ে আজও তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন তিনি। এখন দিন মজুরি করে মুখে খাবার তুলতে হয় সিরাজুলকে। তবে অশ্রদ্ধা নয়, আজও মনে প্রাণে শ্রদ্ধা করেন তৃণমূল নেত্রীকে।