Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Monday, September 22, 2025

দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেও ২১ জুলাই নিয়ে সক্রিয় বাঁকুড়ার কাউন্সিলর অনন্যা রায় চক্রবর্তী।

banner

journalist Name : Suchorita Bhuniya

#Pravati Sangbad Digital Desk:

২১ জুলাই ধর্মতলায় জনোচ্ছ্বাস হবে। রাজপথ পরিণত হবে জনপথে। বললেন, তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কোভিডের কারণে গত দু’বছর ধরে জনসভা করতে পাড়া যায়নি। কিন্তু এই বছর ফের আগের মতো শহীদ তর্পণ ও জনসভা করা হবে। এবারের সভায় অন্যান্য রাজ্য থেকেও তৃণমূল প্রতিনিধিরা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে ভিড় জমানোতে যাতে কোনও খামতি না থাকে, তার জন্য জেলায় জেলায় কর্মসূচি চালাচ্ছে তৃণমূল শিবির। প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। চলছে প্রচার অভিযান। বাঁকুড়া পুর এলাকাতেও তৃণমূলের তরফে প্রচার চলছে। ২১ জুলাই হল তৃণমূলের শক্তি প্রদর্শনের দিন। আর এই শক্তি প্রদর্শন শুধু বিরোধী শিবিরকেই নয়, এর পাশাপাশি কোন ওয়ার্ড থেকে কোন ব্লক থেকে কোন নেতা কত বেশি ভিড় টানতে পারবেন, সেই নিয়েও জোর চর্চা চলছে তৃণমূলের অন্দরে। তবে এর পাশাপাশি আলাদাভাবে ২১ জুলাইয়ের জন্য প্রচারে নেমেছেন দল থেকে বহিষ্কৃত কাউন্সিলর অনন্যা রায় চক্রবর্তী।

পুরভোটে তৃণমূলের থেকে টিকিট পাননি তিনি। তাই বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ি কাউন্সিলর অনন্যা রায় চক্রবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়াবেন। দলের হুঁশিয়ারিকে একপ্রকার অগ্রাহ্য করেই নির্দল হিসেবে ভোট লড়েছিলেন। দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। পুরভোটে ওই ওয়ার্ড থেকে তিনি তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন বটে, কিন্তু ঘাসফুলে আর সেই অর্থে ফিরতে পারেননি তিনি। তবে ২১ জুলাইয়ের সভা ঘিরে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ওই কাউন্সিলর। তবে কি এভাবে সক্রিয়তা দেখিয়ে আবার দলে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি? যদিও নির্দল কাউন্সিলরের এই কাণ্ডকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না স্থানীয় তৃণমূল শিবির। তৃণমূল বাঁকুড়া শহর সভাপতি সিন্টু রজক বলেন, “১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর কোথায় কী বলেছেন আমি জানি না। আমাদের পথসভা চলছে। আমরা দেখে নেব বিষয়টি। এই ধরনের ঘটনা অভিপ্রেত নয়। তিনি দল করেছেন একসময়ে। কিন্তু তাঁকে দল বহিষ্কার করেছে। স্বভাবতই দল তাঁদের উপর নির্ভরশীল নয়। তবে কেউ যদি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যায়, তাতে আমাদের আপত্তি নেই।” নির্দল কাউন্সিলর অনন্যা রায় চক্রবর্তীর অবশ্য বক্তব্য, তাঁর কাছে ২১ জুলাই হল একটি আবেগের নাম। বলেন, “আমরা যে দিন থেকে এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছি, প্রতি বছর আমরা ধর্মতলা গিয়েছি। এই বছরও তার অন্যথা হবে না। ইতিমধ্যেই আমরা দুই বছর হারিয়ে ফেলেছি করোনার জন্য। এই বছর ধর্মতলায় সভা হবে এবং আমরা যাব না, এটা তো হতে পারে না। এটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইকে ভালবেসে যাওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি থাকে, তাহলে যে কেউ যেতে পারে।” 

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

রাজনৈতিক
Related News