#Pravati Sangbad Digital Desk:
দেড় বছর আগে মারা গিয়েছিলেন রসিকা জৈন। আলিপুরের এক বিশাল শিল্পপতির মেয়ে ছিলেন রসিকা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেই বাপের বাড়ির দাবি ছিল শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করা হতো তাকে। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সবস সময় বলে এসেছিল সে আত্মহত্যা করেছে। একাধিকবার এই নিয়ে আলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল রসিকার বাড়ির লোকেরা। গত ফেব্রুয়ারিতে তার শ্বশুরবাড়ির নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়েছিল অনুমান করা হয়েছিল ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল রসিকা জৈন। কিন্তু তারপরে তার বাড়ির লোকের অভিযোগে ঘটনার মোড় ঘুরে গিয়েছিল। মৃত্যুর পর গতকাল প্রায় দেড় বছর পর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যরা তার স্বামী তুষার জৈনকে আলিপুর থেকে গ্রেফতার করে। হাইকোর্টের নির্দেশেই রসিকার মৃত্যুর পরে রাজ্য পুলিশের নগর পাল দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছিল মৃত্যুর তদন্তে। তুষার জৈনকে গ্রেপ্তার করার আগে এই ইনভেস্টিগেশন টিমের আধিকারিকরা তার বাড়িতে তদন্ত চালায়। সেই তদন্ততে রসিকা জৈনেরর স্বামীর ফোনে অনেক অশালীন বার্তা পাওয়া যায় অন্যান্য মহিলাদের সাথে। গ্রেপ্তারের পরেই হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে আগে থেকেই নিজের জামিনের আবেদন জানিয়েছিল রসিকার স্বামী তুষার। কিন্তু সেটি খারিজ করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।